মন্দির নির্মাণ ঘিরে সংঘর্ষ, দত্তপুকুরে আহত ২ বিজেপি নেতা

হনুমান মন্দির ও হকার বসানোকে কেন্দ্র করে তৃণমূল (TMC) - বিজেপি (BJP) বচসা ও সংঘর্ষ। আহত ২ বিজেপি নেতা। ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার (N 24 Pargana) দত্তপুকুর ১ নম্বর রেলগেট এলাকায়। এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধেও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। আহত বিজেপি নেতাদের চিকিৎসা চলছে। 

Advertisement
মন্দির নির্মাণ ঘিরে সংঘর্ষ, দত্তপুকুরে আহত ২ বিজেপি নেতাপ্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • হনুমান মন্দির নির্মাণ ঘিরে সংঘর্ষ
  • দত্তপুকুরে আহত ২ বিজেপি নেতা
  • কাঠগড়ায় তৃণমূল, তদন্তে পুলিশ


হনুমান মন্দির ও হকার বসানোকে কেন্দ্র করে তৃণমূল (TMC) - বিজেপি (BJP) বচসা ও সংঘর্ষ। আহত ২ বিজেপি নেতা। ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার (N 24 Pargana) দত্তপুকুর ১ নম্বর রেলগেট এলাকায়। এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধেও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। আহত বিজেপি নেতাদের চিকিৎসা চলছে। 

জানা গেছে, ওই এলকায় দীর্ঘদিন ধরেই একটি হনুমান মন্দির তৈরির দাবি রয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, মন্দির নির্মাণে বাধা দিতেই সেখানে হকার বসিয়ে দেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা গোপাল কাঞ্জিলাল। সেই ঘটনারই প্রতিবাদ জানায় বিজেপি। যার জেরে বচসা শুরু হয় উভয় পক্ষের। যা গড়ায় সংঘর্ষ পর্যন্ত। অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূল কর্মীদের মারে গুরুতর আহত হন আমডাঙ্গা ৪ নম্বর মন্ডলের বিজেপি সভাপতি জয়দেব পাল এবং ১৮৭ নম্বর পার্টের সভাপতি বিপ্লব সেন। মাথায় আঘাত লাগে জয়দেববাবুর। তাঁকে ভর্তি করা হয় বারাসত জেলা সদর হাসপাতালে। পাশাপাশি চোখে আঘাত পান বিপ্লব সেনও। এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। ঘটনায় দোষীদের উপযুক্ত শান্তির দাবি জানিয়েছে তারা। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে বিজেপির তরফে। 

প্রসঙ্গত হনুমান মূর্তি উদ্ধারকে ঘিরে রবিবার আলিপুরদুয়ারে তরজায় জড়িয়ে পড়ে বিজেপি ও তৃণমূল। ওই দিন আলিপুরদুয়ারের ১ নম্বর ব্লকের বনচুকামারির উত্তর ঘাঘরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা দীপেন দাসের বাড়িতে চলছিল পুকুর খননের কাজ। সেই সময়ই আচমকাই কোদালের কোপে উঠে আসে ধাতুর তৈরি ওই হনুমান মূর্তি। স্থানীয়দের আপত্তি সত্ত্বেও সেই মূর্তি নিয়ে যায় পুলিশ প্রশাসন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল ও বিজেপি। জেলার বিজেপির ১২ নম্বর মন্ডলের সভাপতি দীপঙ্কর তালুকদার বলেন, "মূর্তি উদ্ধারের পর এলাকায় গিয়ে দেখি মানুষ খুব আনন্দিত। গ্রামের মানুষ চাইছেন সেখানে স্থায়ী মন্দির করে ভগবান রামের ভক্ত হনুমানের পুজো হবে। তবে পুলিশ জোর করে মূর্তিটিকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। ঘটনায় খুবই দুঃখিত।" এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে হিন্দু ধর্মের প্রতি আঘাত করা হল বলেও মনে করেন তিনি। পালটা আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীর কটাক্ষ, "বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ির পাশে পুকুর খুঁড়ে হনুমানের মূর্তি পাওয়া গিয়েছে। এটি একটি আশ্চর্য, ভৌতিক ঘটনা। এর তদন্ত হওয়া দরকার। বিজেপি বিভিন্ন ভাবে ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনীতি করে। এই ঘটনায় মূর্তিকে কীভাবে কাজে লাগিয়েছে তার তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। মূর্তির ইতিহাস জানতে হবে।" এক্ষেত্রে তারপরেই পুরো বিষয়টি মানুষের সামনে তুলে ধরা হবে বলে জানান সৌরভবাবু। 

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement