ধর্মঘটীদের হাতে আক্রান্ত বাইক চালক। অভিযোগ অন্তত এমনটাই। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) ইছাপুরের মেটাল ফ্যাক্টরির (Ichhapore) সামনে। চালককে মারধরের পাশাপাশি বাইকটিকেও লাথি মেরে ফেলে দেওয়া হয়। এমনকি একটি অটোর কাঁচও ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
সিপিআইএমের (CPIM) ছাত্র ও যুব সংগঠেনর ডাকা নবান্ন অভিযানে পুলিশি বাধার প্রতিবাদে শুক্রবার রাজ্যজুড়ে ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বামেরা (Left Front)। এদিন সেই ধর্মঘটের সমর্থনেই মিছিল বের করেন সিপিআইএমের কর্মী সমর্থকেরা। জানা গেছে সেই সময় মিছিলের মধ্যে ঢুকে পড়ে একটি বাইক ও অটো। যার জেরে মিছিলকারীদের সঙ্গে প্রথমে তর্কাতর্কি শুরু হয় বাইক ও অটো চালকের। অভিযোগ, তর্কাতর্কি চরমে পৌঁছলে অটোর কাঁচ ভেঙে দেন মিছিলকারীরা।
ছাড় পাননি বাইক চালকও। তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘুঁসি মারা হয় তাঁর চোখে। ছিঁড়ে দেওয়া হয় পিঠের ব্যাগ। এমনকি বাইকটিকেও ফেলে দেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে আক্রান্ত বাইক চালক জানাচ্ছেন, "আমি কাজে যাচ্ছিলাম। আমার বাইক আটকে লাথি মেরে ফেলে দেওয়া হয়। বাইকে ভাঙচুর করা হয়। চোখে ঘুষি মারা হয়েছে। আরও অনেক কিছুই হয়েছে।"
প্রসঙ্গত, শিল্প ও কর্মসংস্থানের দাবিতে বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযানের ডাক দেন বামেরা। কলেজ স্ট্রিট থেকে শুরু হয় মিছিল। এরপর মিছিল ধর্মতলার কাছে এস এন ব্যানার্জী রোডে পৌঁছলে তা আটকে দেয় পুলিশ। মেটাল ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করেন বাম কর্মী সমর্থকরেরা। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। আন্দোলনকারীদের আটকাতে জল কামান ব্যবহার করেন পুলিশ কর্মীরা। কিন্তু তাতেও বাগে নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি আন্দোলনকারীদের। এরপর ব্যারিকেড পেরোনোর চেষ্টা করেন তাঁরা। তখন লাঠি চার্জ ও কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। লাঠিচার্জে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ বাম কর্মী সমর্থকদের। অন্যদিকে ধস্তাধস্তিতে এক পুলিশ আধিকারিকও আহত হয়েছেন বলে জানা যায়। গোটা ঘটনার প্রতিবাদেই এদিন ধর্মঘটরে ডাক দেন বামেরা।