শুক্রবার সকালে সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর তেজরাইপুর ভাগিরথীর ঘাটে এক গৃহবধূ ও তার তিন শিশু সন্তানকে নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনার কয়েক ঘন্টা পরে ঘাট সংলগ্ন নদী থেকে শিশু কন্যার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া শিশু কন্যার নাম খাদিজা খাতুন (৫)। শনিবার ওই বধূর মৃতদেহও উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাগরদিঘি থানার কাবিলপুরের বাসিন্দা পেশায় রাজমিস্ত্রী ওয়াইদুর রহমানের সঙ্গে বছর আটেক আগে রবিনা বিবির বিয়ে হয়। তাদের তিন সন্তান জসিম শেখ(৭), খাদিজা খাতুন (৫) এবং এক মাসের শিশু পুত্র।
অভিযোগ ওয়াইদুর রহমান ও তার পরিবারের লোকেরা ওই গৃহবধূর উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চালাতো। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এদিন সকালে তিন সন্তানকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরোন গৃহবধূ এবং তেজরাইপুর ঘাটে এসে পৌঁছায়। সকলের অলক্ষ্যে তিন সন্তানকে নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেন। ঘটনাটি জানাজানি হতেই খোঁজখবর শুরু হয়। শুক্রবার সকাল থেকেই ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালানো শুরু হয়। রাত হলে তল্লাশি বন্ধ রেখে ফের শনিবার
শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচারিত হয়ে এক গৃহবধূ গতকাল তিন সন্তান নিয়ে গঙ্গায় ঝাঁপ দেয়। গতকাল একটি কন্যা শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার হয় ভাগীরথী গঙ্গা থেকে গতকাল থেকে মা এবং আরও দু'টি শিশুর মৃতদেহ নিখোঁজ থাকার পরে আজ সকাল থেকে গঙ্গা নদীতে ডুবুরি দিয়ে জোর তল্লাশি চালানো হয় অবশেষে গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার হলেও এখন পর্যন্ত দুটি শিশু মৃতদেহ উদ্ধার হয়নি। মুর্শিদাবাদ জেলা সাগরদিঘির ঘটনা।
শনিবার ভাগিরথীতে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালিয়ে গৃহবধূ রবিনা বিবির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এখন বধূর বড় ছেলে জসিম শেখ ও একমাসের পুত্র সন্তানের খোঁজে তল্লাশি চলছে। এদিন মৃত গৃহবধূর মামা মনিরুল ইসলাম বলেন, স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ভাগ্নির উপর অত্যাচার করত। ভাগ্নি ও তার তিন ছেলেমেয়েকে নিয়ে গিয়ে ধাক্কা মেরে নদীতে ফেলে দেয়।