Coochbehar TMC Leader Son Murder Case: কোচবিহারে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলেকে খুনের ঘটনায় কয়েকদিন আগে এক শার্প শ্যুটারকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হল। এই দুজনকে অরুণাচলপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করে আনা হল। সেখানে গা ঢাকা দিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম, নারায়ণ বর্মন ওরফে বিশাল (২০) এবং কিশোর বর্মন ওরফে ভগী (২৪)। দুই তরুণের বাড়ি পুন্ডিবাড়ি থানার মরানদীরকুঠি এলাকায়। অগাস্ট অসম-বাংলা সীমান্ত থেকে বিনয় রায় নামে এক শার্প শুটারকে গ্রেপ্তার করেছিল পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিশ। এরপর ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিশের একটি বিশেষ দল অরুণাচল প্রদেশে গিয়ে পৌঁছয়। বৃহস্পতিবার রাতে অরুণাচল প্রদেশের পাপুমপারে জেলা থেকে দুই তরুণকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গিয়েছে, ধৃত দুই তরুণের মধ্যে কিশোর বর্মন এর আগেও একাধিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। চলতি বছর ৯ ফেব্রুয়ারি পুন্ডিবাড়ি থানার দক্ষিণ মরানদীরকুঠি এলাকায় একটি রাস্তার কাজের তোলাবাজি করতে গিয়ে গুলি চালানোর ঘটনায় ওই তরুণ জড়িত ছিল। ধৃতদের পুলিশ হেপাজতের আবেদন জানিয়ে শুক্রবার কোচবিহার জেলা আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গত ৯ অগাস্ট ডোডেয়ারহাটে শুটআউটের ঘটনায় নিহত হন তৃণমূল যুব নেতা অমর রায়। সেই ঘটনায় বাংলা-অসম সীমানায় বক্সিরহাট থেকে গত রবিবার ভোরে গ্রেফতার করা হয় বিনয়কে। তাঁর কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, চারটি কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে এসেছে, সব মিলিয়ে চারটি গুলি করা হয়েছিল সঞ্জীবকে।
রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃষ্ণগোপাল মিনা জানিয়েছেন, ৯ অগাস্ট বিকেলে ডোডেয়ারহাটে গুলি চলে। সেখানে অমর রায় মারা যান এবং আলমগির হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হন। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা যায়, অমরের শরীরে চারটি গুলি লেগেছে। দুটি মাথায় ও দুটি পেটে। এরপর ঘটনার তদন্তে নেমে অনেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অবশেষে কোচবিহার-২ ব্লকের সিদ্ধেশ্বরীর বাসিন্দা বিনয় রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত শনিবার ৯ অগস্ট গাড়ি নিয়ে পুন্ডিবাড়ি থানার ডোডেয়ার হাটে গিয়েছিলেন সঞ্জীব। সেই সময়ে বাইক আরোহী দুই যুবক তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সঞ্জীবের। গুরুতর আহত হন তাঁর গাড়ির চালক আলমগীর হোসেন।