Coochbehar TMC Leader Shootout Case: কোচবিহারে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলেকে খুনের ঘটনায় কয়েকদিন আগে এক শার্প শ্যুটারকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয় অরুণাচলপ্রদেশ থেকে। রবিবার আরও ২ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এই নিয়ে খুনের ঘটনায় মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করা হল। এই ঘটনায় আরও কতজন গ্রেফতার হয়, এবং এর পিছনে কারণ কী তা নিয়ে ঔৎসুক্য বাড়ছে।
ডোডেয়ারহাটে শুটআউটের ঘটনায় আরও দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিশ। সেই সঙ্গে খুনের সময় সুপারি কিলাররা যে মোটরবাইক ব্যবহার করে হাটে এসেছিল সেটিও উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে আলিপুরদুয়ার জেলার তপসিখাতা থেকে বাধন দাস (২৯) ও মিঠুন রায় (৩৬) নামে দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকেই খুনের সময় যে মোটরবাইকটি চেপে তারা গিয়েছিল, সেটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
রবিবার কোচবিহার পুলিশ লাইনে সাংবাদিক সম্মেলন করে পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য জানান, পুরোনো শত্রুতার জেরেই খুনের ঘটনাটি ঘটেছিল। এই ঘটনায় আর কারা যুক্ত রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি এই ঘটনায় ব্যবহার করা একটি পিস্তলও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ৯ অগাস্ট ডোডেয়ারহাটে বন্ধুদের সঙ্গে মাংস কিনতে এসে প্রকাশ্যে শুটআউটের ঘটনায় নিহত হন তৃণমূলের যুব নেতা অমর রায়। তিনি ডাওয়াগুড়ির পঞ্চায়ত প্রধানের ছেলে। এই খুনের ঘটনায় গত ১৭ অগাস্ট অসম-বাংলা সীমান্ত থেকে বিনয় রায় নামে এক সুপারি কিলারকে গ্রেফতার করেছিল পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিশ। এরপর ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিশের (Pundibari Police) একটি বিশেষ দল অরুণাচলপ্রদেশে পৌঁছায়। সেখান থেকে গত ২১ অগাস্ট রাতে নারায়ণ বর্মন ওরফে বিশাল (২০) এবং কিশোর বর্মন ওরফে ভোগী (২৪) নামে দুই তরুণকে গ্রেফতার করা হয়। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে এসেছে, সব মিলিয়ে চারটি গুলি করা হয়েছিল সঞ্জীবকে।