Wild Boar Attack Death Coochbehar: কোচবিহারের ঘোকসাডাঙ্গায় ফের বুনো শুয়োর আতঙ্ক। দু’দিনে পরপর দুই জনের মৃত্যু হল বুনো শুয়োরের হামলায়। মঙ্গলবার রাতে গরু খুঁজতে গিয়ে প্রাণ হারালেন ভেলাকোপার বাসিন্দা কাশীকান্ত বর্মন (৬৬)। বুধবার সকালে গ্রামের মাঠের ধারে মেয়ের চোখে পড়ে তাঁর নিথর দেহ। মৃতদেহের চিহ্ন দেখে স্থানীয়রাই বুঝতে পারেন, বুনো শুয়োরের হামলাতেই মৃত্যু হয়েছে ওই বৃদ্ধের।
খবর ছড়াতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বন দফতরের কর্মীরা, স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য এবং প্রশাসনের প্রতিনিধিরা। মাথাভাঙ্গা রেঞ্জ অফিসার সুদীপ দাস জানান, এলাকায় নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে এবং বাসিন্দাদের সচেতন করতে প্রচারও চলছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের আবেদন করলে সাহায্য দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
এর আগের দিন, সোমবার, একইভাবে প্রাণ হারান আর এক গ্রামবাসী ধীরেন বর্মন (৪৯)। খোপাডুলির তেঁতুলেরছড়া এলাকায় গোরুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন ধীরেনবাবু। হঠাৎ পেছন থেকে একটি বুনো শুয়োর আক্রমণ করে তাঁকে। পাশেই কাজ করছিলেন স্থানীয় দুধেশ্বর বর্মন, তিনি দৌড়ে এলে শুয়োরটি পালিয়ে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় ধীরেনবাবুকে দ্রুত ঘোকসাডাঙ্গা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলেও, চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এদিকে, ভারী বর্ষণে তোর্ষা নদীতে জলস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় বন্যপ্রাণীর দল লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। গতকালই খোপাডুলির তোর্ষার চর থেকে বন দপ্তর উদ্ধার করেছে একটি পূর্ণবয়স্ক সম্বর হরিণ। মাথাভাঙ্গা-২ ব্লকের ভেলাকোপায় ধরা পড়েছে একটি বিরল প্রজাতির কচ্ছপও। নদী ফুলে উঠতেই গন্ডার, হরিণ, অজগর সহ নানা প্রাণী লোকালয়ে ঘোরাঘুরি শুরু করেছে।
বন দফতর ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে গ্রামবাসীদের সতর্ক করা হচ্ছে। স্থানীয়দের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, সন্ধ্যার পর অজস্র ঝোপঝাড় বা নদীর ধার ঘেঁষে না যেতে। বৃষ্টি না কমা পর্যন্ত পাহারার সংখ্যা আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন দফতর।