scorecardresearch
 

Srikhola Darjeeling North Bengal Tourism: ভূমি থেকে ৬৯০০ ফুট উঁচু, নেই বিদ্যুৎ-গা ছমছমে পরিবেশ; শিলিগুড়ি থেকে কীভাবে যাবেন ?

Srikhola Darjeeling North Bengal Tourism: দুশো বছরের পুরনো সেতু, Rhododendron ওয়াইন এবং yak এর মাংস, আর সঙ্গে ইলেকট্রিসিটি, মোবাইল নেটওয়ার্ক বিবর্জিত জায়গা। শর্ট ট্রিপের জন্য আদর্শ। এখানকার সিনিক বিউটি মাতাল করার মতো। না গেলে একবার অন্তত জীবনে ঘুরে আসুন।

Advertisement
৬৯০০ ফুট উঁচু, নেই বিদ্যুৎ-গা ছমছমে পরিবেশ; শিলিগুড়ি থেকে কীভাবে যাবেন ? ৬৯০০ ফুট উঁচু, নেই বিদ্যুৎ-গা ছমছমে পরিবেশ; শিলিগুড়ি থেকে কীভাবে যাবেন ?
হাইলাইটস
  • দুশো বছরের পুরনো সেতু শ্রীখোলার আকর্ষণ
  • পাবেন রডোডেনড্রনের ওয়াইন আর ইয়াক-এর মাংস
  • দার্জিলিংয়ের অন্যতম উচ্চতম জায়গা

Srikhola Darjeeling North Bengal Tourism: পর্যটনকেন্দ্র বলতে যা বোঝায় ঠিক তা নয়, দার্জিলিং এর একটি ছোট্ট গ্রাম, শ্রীখোলা। যাঁরা একবার গিয়েছেন, তাঁরা তাঁদের মনের মণিকোঠায় চিরদিনের জন্য বাঁচিয়ে রাখবেন কিছু ফ্রেম। যা জন্ম জন্মান্তরেও ভোলা যাবে না। সান্দাকফু-ফালুট ট্রেকিং করতে যারা যান, তাঁদের পথে পড়বে শ্রীখোলা। রিম্বিক থেকে খুব কাছে, তবু মিনিট পনেরোর রাস্তা। দার্জিলিং থেকে যেতে হলে কমপক্ষে ছ'ঘন্টা লাগবে। এটি দার্জিলিং জেলার উচ্চতম স্থানগুলির মধ্যে একটি। ইন্টারনেট নেই, মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই, ইলেকট্রিসিটি পর্যন্ত নেই। যদি কয়েকদিন এমন পরিবেশে নিজেকে হারিয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে, তাহলে একবার ঘুরে আসতে পারেন শ্রীখোলায়। সঙ্গে বাড়তি পাওনা রডোডেনড্রনের ওয়াইন আর চমরি গাইয়ের মাংস।

আরও পড়ুনঃ এখান থেকেই দেখা যায় তিব্বত, ভুটান, সিকিম, দার্জিলিং, খরচ মাত্র ১ হাজার টাকা, গিয়েছেন?

পর্যটকদের নেটওয়ার্কের বাইরে থাকা একটি ছোট্ট জনপদ

দার্জিলিং এর একটি ছোট্ট গ্রাম শ্রীখোলা। সেখানে সচরাচর পর্যটকরা যান না। তবে যারা সান্দাকফু-ফালুট ট্রেকিং করতে যান, তাঁরা শ্রীখোলার সৌন্দর্য সম্পর্কে অবহিত। যদিও শ্রীখোলা আপনার প্ল্যানে না থাকে, তাহলে সামান্য সময়ের জন্য থমকে দাঁড়াতেই হবে। এখানে অতিথিদের স্বাগত জানায় সুন্দর শ্রীখোলা নদী। তার উপর মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে দুশো বছরের ঝুলন্ত ব্রিজ। সবুজে ঘেরা এই গ্রামে ক্ষণিকের বিশ্রাম বুকভরে অক্সিজেন নেওয়ার জন্যই এখানে কয়েকটা দিন কাটিয়ে দেওয়া যায়।

ফটো

সভ্য জগত থেকে বিচ্ছিন্ন

এখানে মোবাইল টাওয়ার ধরে না। ইলেকট্রিসিটি নেই। ফলে ক্যামেরা বা মোবাইল চার্জ দেওয়া যায় না। রাতেও ঘরে থাকবে সামান্য পাওয়ারের আলো। তাই এই অসুবিধাগুলি সহ্য করতে পারলেই এখানে আসুন। তবে নিজেকে আদমি প্রকৃতির কাছাকাছি মনে হবে। খুব কাছেই নেপাল। তাই আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক ধরে নেয় চার্জ থাকলে।

Advertisement

রাজ্যের উচ্চতম ভোটগ্রহণকেন্দ্র এটি

এখানেই রাজ্যের উচ্চতম ভোটগ্রহণকেন্দ্র রয়েছে। যেখানে আবার গাড়ি যায় না। খচ্চরের পিঠে ভোটযন্ত্র ও অন্যান্য জিনিস উঠিয়ে দিতে হয়। কর্মী ও পুলিশকে হেঁটেই যেতে হয়। এমন জায়গায় একবার ঘুরে আসলে অন্য অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরবেন বলাই যায়।

খাবারও খুব সাধারণ কিন্তু চমক আছে

এখানে খাবারের ভ্যারাইটি পাবেন না। নিরামিষ খাবারই পাবেন। সঙ্গে করে চিকেন, মাটন নিয়ে গেলে তা রেঁধে দেবেন তাঁরা। যা পাবেন তা একটু খরুচে। প্রত্যন্ত এলাকা বলে সেটুকু গা সয়ে যাবে। তবে কখনও কখনও চমরি গাইয়ের মাংস পাওয়া যায়। আর পাবেন রডোডেনড্রন দিয়ে তৈরি ওয়াইন। এটা মিস করবেন না।

ছবি-নর্থবেঙ্গল টুরিজম
ছবি-নর্থবেঙ্গল টুরিজম

কীভাবে যাবেন?

গাড়ি ভাড়া নিয়ে যাওয়া যায় শিলিগুড়ি, দার্জিলিং থেকে। এমনিতে রিম্বিক পর্যন্ত গাড়ি মেলে রুটের শেয়ার ট্যাক্সি। যদিও সংখ্যায় কম। তবে বাড়তি ভাড়া দিয়ে সরাসরি শ্রীখোলায় যাওয়া যায়। দার্জিলিং থেকে যাত্রাপথ ৫ থেকে ৬ ঘন্টা। রিম্বিক থেকে ১৫ মিনিট সময় লাগে। সকাল ৭ টায়  দার্জিলিং বাসস্ট্যান্ড থেকে রিম্বিক যাওয়ার বাস ছাড়ে।

কোথায় থাকবেন?

শ্রীখোলা নদীর উপরে জিটিএ-র লজ রয়েছে৷ আগে থেকে সেখানে ঘর বা ডরমিটরি বুক করে যেতে পারেন ৷ এছাড়াও দুটি হোটেল ও লজ আছে। এগুলি শিলিগুড়ি, কলকাতা থেকে বুক করতে পারবেন। টুরিজম দফতরের ওয়েবসাইট থেকেও বুকিং করা যায়।

 

Advertisement