দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের হোসেনপুর এলাকার শুভায়ন হোম থেকে তিন নাবালক পালিয়ে গেল। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। রবিবার গভীর রাতে পাঁচিল টপকে ওই তিনজন পালায় বলে জানা গিয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থলে পৌঁছন অতিরিক্ত জেলাশাসক হরিশ রশিদ। সঙ্গে ছিলেন বালুরঘাট থানার আইসি সুমন্ত বিশ্বাস ও বিশাল পুলিশবাহিনী। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। হোমের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে কর্মী ও নিরাপত্তারক্ষীদের।
জেলা সমাজকল্যাণ আধিকারিক নীলাদ্রি মজুমদার বলেন, "আমরা অভিযোগ দায়ের করেছি, কী ভাবে তারা পালিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে, তাদের পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে।" সূত্রের খবর, পালিয়ে যাওয়া তিন নাবালকই ভারতীয়। তাদের দু’জন দক্ষিণ দিনাজপুরের, একজন মালদার। হোমে বাংলাদেশি আবাসিকও রয়েছে। চুরি, ছিনতাই কিংবা অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে বিভিন্ন সময় পাকড়াও করা হয়েছে তাদের।
এই প্রথম নয়, ২০১৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর একই হোম থেকে রাতের অন্ধকারে পালিয়েছিল আট নাবালক।
তাদের মধ্যে সাতজন ছিল বাংলাদেশি। ঘরের দেওয়াল কেটে সুরঙ্গ তৈরি করে সেই পথে তারা পালিয়ে গিয়েছিল। ২০২৩ সালের মার্চ মাসেও পালিয়ে যায় এক নাবালক।
শুধু তাই নয়, গত বছর অক্টোবর মাসে কালীপুজোর আগের দিন হোমের ঘর থেকে উদ্ধার হয় এক কিশোরের ঝুলন্ত দেহ। সে ঘটনাও চাঞ্চল্য তৈরি করেছিল। পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তল জানান, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে, হোম কর্তৃপক্ষ অভিযোগ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা এতটাই ঢিলেঢালা যে একের পর এক আবাসিক পালিয়ে যেতে পারছে নির্বিঘ্নে।
প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। বারবার ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে হতবাক সাধারণ মানুষ। হোমের ভবিষ্যৎ কার্যপদ্ধতি ও রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।