Malda Bamangola Incident: বামনগোলাকাণ্ডের ৯ দিনের মাথায় অবশেষে পদক্ষেপ শুরু করল প্রশাসন। এই ঘটনায় বামনগোলা থানার আইসি সহ ৪ পুলিশ অফিসারকে ক্লোজ করলেন মালদা জেলা পুলিশ সুপার। তাঁরা হলেন বামনগোলা থানার আইসি জয়দীপ চক্রবর্তী, এসআই সঞ্জয় সরকার, পাকুয়াহাট ফাঁড়ির ওসি রাকেশ বিশ্বাস, এএসআই মিলন কুমার সরকার। তাঁদের পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।
পাকুয়াহাটে চুরির অভিযোগে দুই মহিলাকে ‘বিবস্ত্র’ করে মারধরের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়ে পুলিশের একাংশের ভূমিকা। দুই ‘নির্যাতিতা’কে কেন গ্রেফতার করা হয়েছিল, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছিল। তার প্রেক্ষিতে গত বুধবার, ঘটনার পাঁচ দিন পর পাকুয়াহাট ফাঁড়ির ওসি রাকেশ বিশ্বাস-সহ বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব। এর পর শুক্রবার চার পুলিশ আধিকারিককে ‘ক্লোজ়’ করা হল। পুলিশ সূত্রে খবর, চার জনের কর্তব্যে ‘গাফিলতি’ রয়েছে বলে অভিযোগ তুলে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
গত ১৮ জুলাই বামনগোলার পাকুয়াহাটে লেবু বিক্রি করতে যান দুই মহিলা। সেই সময় বেশ কয়েকজন তাঁদের চোর সন্দেহে মারধর করে বলে অভিযোগ। যারা মারধর করে, তাদের মধ্যে অনেক মহিলাও ছিল। অভিযোগ, ওই দুই মহিলাকে জুতোপেটাও করা হয়। মারধরের সময় ওই দুই মহিলার শরীর থেকে পোশাক খুলে যায়। তারপরেও মারধর চালিয়ে যাওয়া হয়। এমনকি, এই ঘটনায় প্রথমে পুলিশ দুই নির্যাতিতাকে গ্রেপ্তার করে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। যদিও ঘটনার ৭ দিন পর জামিন পান দুই নির্যাতিতা। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই রিপোর্ট তলব করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। মারধরের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে ৭ জন। গত শুক্রবার রাতে মালদহের বামনগোলার পাকুয়াহাটে চোর সন্দেহে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে গণপ্রহারের অভিযোগের ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়। যদিও তার সত্য়াসত্য যাচাই করা যায়নি। তবে তারপরই ক্ষোভ চরমে ওঠে।