A college registrar in Siliguri Missing:আট দিন ধরে নিখোঁজ শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি আইন কলেজের রেজিস্ট্রার। গত ১০ মার্চ তিনি সকালে কলেজে যাওয়ার জন্য শেষবার বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। তারপর থেকে তাঁকে আর পাওয়া যায়নি। তিনি কলেজেও যাননি। বাড়িও ফেরেননি।পুলিশ তদন্ত শুরু করে মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে ওইদিন তাঁর মোবাইল লোকেশন পেয়েছে কলকাতার হরিদেবপুরে। যদিও এখনও তাঁর হদিশ মেলেনি। বাড়ির লোক তো বটেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষও। কলেজের ২৬ লক্ষ টাকাও ওই রেজিস্ট্রারের কাছে ছিল বলে জানা গিয়েছে।
যদিও কলেজের তরফে এখনও পর্যন্ত পুলিশের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ জানানো হয়নি। কলেজের কর্ণধার জয়জিত চৌধুরী জানিয়েছেন, তিনি ব্যাপারটি নিয়ে উদ্বিগ্ন। সঞ্জয়বাবুর কোনওরকম খারাপ ভাবমূর্তি নেই। বারো বছর ধরে ওই প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। কোনওদিন কোনও কাজে গাফিলতি করেননি বলে জানিয়েছেন তিনি। তাই আগে পুলিশ তাঁর হদিশ করুক, তারপর তাঁদের কলেজের বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাবে বলে মনে করছেন তিনি। এখন তাঁর খোঁজ পাওয়াটাই মুখ্য বলে জানিয়েছেন তিনি। শিলিগুড়ি পুলিশেরর এডিসি সুভেন্দ্র কুমার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁরা তদন্ত শুরু করেছেন।
আরও পড়ুনঃ প্রেমে আপত্তি, মেয়েকে খুন করল বাবা, উঃ দিনাজপুরে 'অনার কিলিং'
শিলিগুড়ির দাগাপুরের একটি আইন কলেজ ছাড়াও ওই কর্তৃপক্ষেরই কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের আরও তিনটি কলেজের প্রশাসনিক কাজকর্ম দেখভাল করতেন শিলিগুড়ির বাসিন্দা সঞ্জয় ভট্টাচার্য। শিলিগুড়ির শিবমন্দিরের বিধানপল্লি এলাকাতেই তাঁর বাড়ি। নিপাট ভালমানুষ হিসেবেই পরিচিতি তাঁর। তার নিখোঁজ হওয়ার পিছনে কী রহস্য রয়েছে, তা জানতে চেষ্টা করছে পুলিশ। পরিবারের দাবি তাঁরা কলেজের ২৬ লক্ষ টাকার বিষয়ে কিছু জানতেন না। এমনকী তাঁকে কখনও বিমর্ষ বা উদ্বিগ্নও দেখায়নি কখনও। তিনি কোনও টেনশনে রয়েছেন কি না, তাও বুঝতে পারেননি স্ত্রী কিংবা মেয়ে। ১০ মার্চ সারাদিন বাড়ি না ফেরায় ১১ মার্চ সকালে মাটিগাড়া থানায় মিসিং ডায়ারি করেছেন সঞ্জয়ের স্ত্রী মালবিকাদেবী। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ওই দিন সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে শেষবার সঞ্জয়ের সঙ্গে মোবাইলে কথা হয়েছিল তাঁর। তারপর থেকেই মোবাইল সুইচড অফ বলছে।
মালবিকাদেবী পেশায় স্বাস্থ্যকর্মী। তাঁদের একমাত্র মেয়ে স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করছেন। মালবিকাদেবী জানিয়েছেন আচার আচরণে কোনওরকম অস্বাভাবিকতা নজরে পড়েনি। সবকিছু ঠিকই ছিল। হঠাৎ কী হল বুঝতেই পারছি না। কোনও সমস্যা ছিল কি না, তাঁরা কেউই জানেন না বলে জানিয়েছেন। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চারটি কলেজের ২৬ লক্ষ টাকা তাঁর কাছে ছিল, যা তিনি জমা করেননি। এখন টাকা পয়সা সংক্রান্ত কোনও সমস্যায় জড়িয়ে পড়েছিলেন কি না, তা নিয়ে রহস্য দানা বাঁধছে। এমনকী তিনি কলেজের অন্য সহকর্মী ও কারও কারও কাছ থেকে আরও কিছু লক্ষ টাকা ধার করেছেন বলে জানা গিয়েছে।