Darjeeling Landslide: টানা বৃষ্টি ও ধসের জেরে বেহাল হচ্ছে দার্জিলিংয়ের অবস্থা। পাহাড়েও দুর্যোগ অব্যাহত। শুক্রবার নতুন করে পাহাড়ে ধসের খবর সামনে এসেছে। একদিকে স্কুলগুলিতে পুজোর ছুটি পড়তে শুরু করেছে। তার মধ্যে এমন সংকেত ভাল নয় বলে মনে করা হচ্ছে। উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ধস, রাস্তা বন্ধ, যানজট।
পাহাড় তথা উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে গত রবিবারই শিলিগুড়িতে পৌঁছে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাঝে কিছু সময়ের জন্য বৃষ্টি কিছুটা ধরলেও তারপরে টানা প্রায় ২৪ ঘণ্টা বৃষ্টির জেরে ফের ব্যাপক ধসের কবলে দার্জিলিং। প্রাণ গিয়েছে এক বৃদ্ধেরও। জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
কয়েকদিনের বিরতির পর গত ৩-৪ দিনে ফের বিপর্যয় শুরু করেছে দার্জিলিংয়ে। বুধবার থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। সেই সঙ্গে ধস নামছে নানা জায়গায়। দার্জিলিং শহরে ও দার্জিলিং যাওয়ার পথে ধস নেমেছে একাধিক জায়গায়। ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধেরও। প্রবল বর্ষণের জেরে এবার ভূমিধস নেমেছে। বৃহস্পতিবার দার্জিলিং-এর জোরবাংলো-সুখিয়াপোখরি ব্লকের প্লুংডুং গ্রামে বাড়ি ধসে যায়। বাড়িতেই চাপা পড়ে মারা যান ৭৯ বছর বয়সী রঘুবীর রাই।
শুক্রবার লোধামার কাছে হাট্টা এলাকায় দার্জিলিংয়ের বিজনবাড়ি যাওয়ার রাস্তায় ধস নামে। ফলে এলাকায় তীব্র যানজট তৈরি হয়। অন্যদিকে সিকিমগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক খুলে দেওয়া হলেও তা যাতায়াতের অযোগ্য বলে দাবি করছেন পর্যটকরা। সামান্য লাইন করে গাড়ি যাতায়াতের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাতে প্রতিদিন যানজট তৈরি হয়েছে। এদিকে তিস্তার জলের স্তর রাস্তার কাছাকাছি উঠে এসেছে। প্রবল জলস্ফীতিতে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এদিকে দার্জিলিং, কালিম্পং, সিকিম যাওয়ার প্রতিটি রাস্তাই খারাপ। বিকল্প রাস্তা যেগুলি রয়েছে, লাভা-গরুবাথান হয়ে পাহাড়ে ওঠার কিংবা রোহিণী, পাঙ্খাবাড়ি, হিলকার্ট রোড সবগুলিই নিত্যনতুন ধসে বিপর্যস্ত। প্রতিদিন আপডেট নিয়ে তবেই পাহাড়ে উঠতে বলা হচ্ছে বাইরের যাত্রীদের। সব মিলিয়ে পুজোর আগে পাহাড় বিপর্যস্ত।