
Alipurduar Police Constable Death: আলিপুরদুয়ার জেলাজুড়ে ফের রহস্যজনক মৃত্যুর ছায়া। প্রায় সাত দিন নিখোঁজ থাকার পর পুলিশ লাইনের বারো কিলোমিটার দূরে দমনপুরের জঙ্গলে এক পুলিশকর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত কনস্টেবল রাজেন মার্ডির মৃত্যুকে ঘিরে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে দমনপুর ইস্ট রেঞ্জের কর্মীরা নিয়মিত পেট্রলিংয়ের সময় জঙ্গলে পচা দেহের গন্ধ পান। খোঁজাখুঁজি শুরু হতেই গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় দেহ দেখতে পান বনকর্মীরা। খবর পেয়ে কালচিনি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। পরে নিশ্চিত হওয়া যায়, দেহটি নিখোঁজ কনস্টেবল রাজেন মার্ডিরই।
মৃতের বয়স পঁয়তাল্লিশের কাছাকাছি। মালদার বাসিন্দা রাজেন গত কয়েক বছর ধরে আলিপুরদুয়ার পুলিশ লাইনে কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। আবাসনে একাই থাকতেন। প্রায় দশ দিন আগে শিলিগুড়িতে পোস্ট অফিসের দায়িত্ব পালনের পর ফিরে এসে দুই-তিন দিনের মধ্যে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যান। তাঁর স্ত্রী ও সন্তান মালদা বা রায়গঞ্জের কোথায় থাকেন, তা নিশ্চিত না হলেও জানা গেছে, তাঁদের আলিপুরদুয়ার আসা নিয়ে দাম্পত্য অশান্তির কথা সহকর্মীদের জানিয়েছিলেন রাজেন।
নিখোঁজ হওয়ার আগে স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর শেষবার ফোনে কথা হয়। এরপর আর ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। শহরের বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ ১৩ নভেম্বর রাজেনকে শেষবার দেখা যাওয়ার সূত্র পায়। তারপর থেকেই কোনও হদিস মিলছিল না। হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন স্ট্যান্ড, সম্ভাব্য প্রতিটি জায়গায় ব্যাপক খোঁজ করা হলেও ফল মেলেনি।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, উদ্ধার হওয়া দেহটি অন্তত ছয় থেকে সাত দিনের পুরনো। খাকি প্যান্ট বোঝা গেলেও উপরের জামা চিহ্নিত করা যায়নি। রাজেনের ফোনসহ বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে।
মৃত্যুর কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা। পারিবারিক অশান্তির জেরে আত্মহত্যার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। তবে খুনের তত্ত্বকে ততটা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। আলিপুরদুয়ার পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী জানিয়েছেন, দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।