আবাস যোজনায় কাটমানি না দেওয়ায় জমি দখলের অভিযোগ TMC পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে

এবার সরকারি আবাস যোজনায় কুড়ি হাজার টাকা কাটমানি না দেওয়ায় জমি দখলের অভিযোগে নাম জড়িয়ে গিয়েছে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের। এলাকায় দাদাগিরি করে তিনি নাকি আবাস যোজনায় কাটমানি না দেওয়ায় জোর করে জমি দখল করে নিয়েছেন।

Advertisement
আবাস যোজনায় কাটমানি না দেওয়ায় জমি দখলের অভিযোগ TMC পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধেআবাস যোজনায় কাটমানি না দেওয়ায় জমি দখলের অভিযোগ TMC পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে

আবাস যোজনা প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বাংলায়। বিজেপি দীর্ঘদিন ধরেই এই অভিযোগটাই করে আসছে। এমনকী আবাসের বাড়ি পাওয়ার তালিকায় নাম ঢুকে গিয়েছে এমন বহু মানুষের যাঁদের দোতলা পাকা বাড়ি রয়েছে। অর্থাৎ যাঁরা নিয়ম মতো এই প্রকল্পের আওতায় আদৌ বাড়ি পাওয়ার হকদারই নন, তাঁরা বাড়ি পেয়ে যাচ্ছেন। ঘটনার তদন্তে নির্দেশ দিয়েছেন মালদার জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া।

এবার সরকারি আবাস যোজনায় কুড়ি হাজার টাকা কাটমানি না দেওয়ায় জমি দখলের অভিযোগে নাম জড়িয়ে গিয়েছে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের। এলাকায় দাদাগিরি করে তিনি নাকি আবাস যোজনায় কাটমানি না দেওয়ায় জোর করে জমি দখল করে নিয়েছেন। রাজ্যের কী পরিস্থিতি একবার ভাবুন তো। গরিব মানুষ যাতে ঘর বানাতে পারে তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী টাকা দিচ্ছেন, সেখানে কিনা তাঁর দলের লোকজন সেখআন থেকেও কাটমানি খাবে বলে উঠে পড়ে লেগেছে। তবে সমস্ত অভিযোগ নাকি মিথ্যা, অস্বীকার করেছেন শাসকদলের ওই নেতা।

মালদহের বামনগোলা ব্লকের গোবিন্দপুর মহেশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাপমারী গ্রামের ঘটনা। বামনগোলা ব্লকের সাপমারি গ্রামের বাসিন্দা সুদেব রায় সম্প্রতি সরকারি আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েছেন তিনি। সেই টাকা পেয়ে বাড়ি তৈরির জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন। অভিযোগ সেই সময় ওই এলাকার তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য গণেশ রায় কুড়ি হাজার টাকা কাটমানি দাবি করেন সুদেব রায়ের কাছে। সেই টাকা দিতে অস্বীকার করেন সুদেব। অভিযোগ এতেই রেগে বাড়ি তৈরির কাজ বন্ধ করে দেন পঞ্চায়েত সদস্য। এমনকি বাঁশের খুঁটি পুঁতে জায়গা দখলের চেষ্টাও করা হয়। ঘটনার পর থেকেই ভীত সন্ত্রস্ত ওই পরিবার। ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক এর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি।
      
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত সদস্য ও তৃণমূল নেতা গণেশ রায়। পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য হিমাংশু মণ্ডল অভিযোগ করেন, সিপিএম সরকারের পালাবদর করে তৃণমূল সরকারকে ক্ষমতায় নিয়ে আসা হয়েছিল। আমরা দেখলাম যে তৃণমূলের জামানায় কাটমানি ছাড়া টাকা না দেওয়া হলে কোন কাজ হচ্ছে না। আমাদের গ্রামেও সেই একই ঘটনা দেখলাম। এই ঘটনাকে আমরা ধিক্কার জানাই। আগামী দিনে এই বিষয় নিয়ে যদি বাড়ি করতে দেওয়া না হয় প্রশাসন যদি কোনও ব্যবস্থা না নেয়। আমরা আন্দোলনে নামব। স্থানীয় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি জানান, ২০ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়ে যে অভিযোগ করা হচ্ছে সেটা একেবারেই ভিত্তিহীন। সদস্য ও দলকে বদনাম করার জন্যই তিনি এই অভিযোগ করছেন।

Advertisement

 

সংবাদদাতা- মিলটন পাল

POST A COMMENT
Advertisement