scorecardresearch
 

১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে পাহাড়ে মিশন জনজাগরণের ডাক অনিত থাপার দলের

বিজিপিএম সভাপতি অনিত বলেন, ‘‘পাহাড়ের মানুষকে গত ১৫ বছরের বঞ্চনা, ধোঁকাবাজির বিরুদ্ধে সরব হতে হবে। মানুষ জেগেছেন। মিশন জনজাগরণ দিয়ে আরও মানুষকে আমরা বিজেপির বিরুদ্ধে সচেতন করব। শহরের পরে এ বার গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে কর্মসূচি চলবে। 

Advertisement
১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে পাহাড়ে মিশন জনজাগরণের ডাক অনিত থাপার দলের ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে পাহাড়ে মিশন জনজাগরণের ডাক অনিত থাপার দলের

আগামী সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি অবধি পাহাড়ের প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে ধর্না, মিছিল কর্মসূচি নিয়েছে  অনিত থাপার নেতৃত্বাধীন ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা (BGPM)। দলের তরফে কর্মসূচির নামকরণ করা হয়েছে, ‘মিশন জনজাগরণ’। গত বুধবারই দার্জিলিং ও কালিম্পং পাহাড়ে তিন দিনের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ধর্না কর্মসূচি শেষ হয়েছে। এরপর তারা আরও ব্যাপক আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন।

বিজিপিএম সভাপতি অনিত বলেন, ‘‘পাহাড়ের মানুষকে গত ১৫ বছরের বঞ্চনা, ধোঁকাবাজির বিরুদ্ধে সরব হতে হবে। মানুষ জেগেছেন। মিশন জনজাগরণ দিয়ে আরও মানুষকে আমরা বিজেপির বিরুদ্ধে সচেতন করব। শহরের পরে এ বার গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে কর্মসূচি চলবে। ১১ জনজাতির তফসিলি উপজাতির স্বীকৃতি না পাওয়া, পাহাড়-সমস্যা নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের উদ্যোগী না হওয়ার অভিযোগে সরব হওয়া থেকে শুরু করে পাহাড়ের জন্য বিজেপি ‘কিছু করেনি’ বলে প্রচার করতে বলা হয়েছে।

দলীয় সূত্রের খবর, দার্জিলিঙে ১১২টি এবং কালিম্পঙের ৪২টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সোমবার সকাল থেকে ধর্না দিয়েই আন্দোলন শুরু হবে। পাহাড়ের অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার দখলে থাকায় প্রধান, উপপ্রধান, পঞ্চায়েত সদস্যদের সবাইকে কর্মসূচিতে কর্মীদের নিয়ে যোগ দিতে বলা হয়েছে। আর এলাকার ‘জিটিএ’ সদস্যেরা প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মসূচিতে থাকবেন। টানা পাঁচ দিন এলাকায় বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেখানে ১১ জনজাতির তফসিলি উপজাতির স্বীকৃতি না পাওয়া, পাহাড়-সমস্যা নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের উদ্যোগী না হওয়ার অভিযোগে সরব হওয়া থেকে শুরু করে পাহাড়ের জন্য বিজেপি ‘কিছু করেনি’ বলে প্রচার করতে বলা হয়েছে।

বিজেপির পাহাড়ের কমিটিকেও প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার আন্দোলন, কর্মসূচির উপর নজর রাখতে বলা হয়েছে। কর্মসূচি নিয়ে চিন্তিত বিজেপি শিবির বলে জানা গিয়েছে। কার্যত দলের সাংসদ রাজু বিস্তাও নিয়মিত পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে চলেছেন। তবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কোনও ঘোষণা পাহাড়ে এ বার কতটা চিঁড়ে আদৌ ভেজাতে পারবে তা নিয়ে দলের স্থানীয় নেতৃত্বের একাংশ চিন্তায় রয়েছেন। কারণ, সরকারি বা সংসদের শিলমোহর ছাড়া, কোনও ঘোষণা আদতে গত ১৫ বছরের মতো ‘ফাঁকা’ ঘোষণা হবে বলে পাহাড়ে পাল্টা প্রচারও রয়েছে। সাংসদ অবশ্য বলেছেন, ‘‘মানুষকে দুর্নীতি, অনুন্নয়ন থেকে মুখ ঘোরাতে কলকাতার নির্দেশে পাহাড়ে এ সব চলছে। পাহাড়বাসী সঠিক
সিদ্ধান্তই নেবেন।’’

Advertisement

 

Advertisement