বালুরঘাট বি.এড কলেজে কর্মীর রহস্যমৃত্যু, তীব্র চাঞ্চল্য

খবর পেয়ে বালুরঘাট থানার পুলিশ দ্রুত কলেজে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। পুলিশের দাবি, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার ইঙ্গিত মিলেছে, তবে পরিবারের সন্দেহ ও অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়েই তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisement
বালুরঘাট বি.এড কলেজে কর্মীর রহস্যমৃত্যু, তীব্র চাঞ্চল্য

বালুরঘাট বি.এড কলেজে বৃহস্পতিবার দুপুরে উদ্ধার হল কলেজ কর্মীর ঝুলন্ত দেহ। ঘটনার পর মুহূর্তে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় কলেজ চত্বরে। মৃতের নাম গোপাল চক্রবর্তী। কলেজ সূত্রের খবর, তিনতলার একটি ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে সাফাই কর্মীই প্রথম ঝুলন্ত অবস্থায় গোপালকে দেখতে পান। মঙ্গলপুরের বাসিন্দা গোপাল সেদিন সকালেই নিয়মমতো কলেজে পৌঁছেছিলেন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর মৃত্যুসংবাদ আসে পরিবারের কাছে।

গোপালের পরিবার আত্মহত্যার তত্ত্ব মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি, গোপাল কোনও মানসিক চাপে ছিলেন না। কয়েকদিন আগেই হৃদরোগের অপারেশন সেরে সুস্থ হয়ে কাজে ফিরেছিলেন তিনি। আত্মীয়রা অভিযোগ তুলেছেন,  “এই মৃত্যুর পিছনে কিছু লুকোনো আছে। ঘটনাস্থলে বেশ কিছু অস্বাভাবিক বিষয় রয়েছে।” পরিবারের ক্ষোভ আরও বেড়েছে অধ্যক্ষ ববি মহন্তের ভূমিকা নিয়ে। অভিযোগ, মৃত্যুর খবর জানার পর তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলেও অধ্যক্ষ সামনে আসেননি।

এদিকে খবর পেয়ে বালুরঘাট থানার পুলিশ দ্রুত কলেজে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। পুলিশের দাবি, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার ইঙ্গিত মিলেছে, তবে পরিবারের সন্দেহ ও অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়েই তদন্ত শুরু হয়েছে। পরিবার জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার শেষকৃত্যের পর আনুষ্ঠানিক লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হবে।

কলেজের মতো নিরাপদ জায়গায় কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্নে তোলপাড় বালুরঘাট বি.এড কলেজ। এই ঘটনার ব্যাখ্যা জানতে অধ্যক্ষ ববি মহন্তকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাঁর ফোন বেজে গিয়েছে।
 

 

POST A COMMENT
Advertisement