Bangladeshi Arrested In India: কিশোর বয়সে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে চলে এসেছিল ঠাকুরগাঁও জেলার বকুয়া গ্রামের বাসিন্দা রূপকচন্দ্র সেন (২৬)। এরপর ‘বাবা’ পরিচয়ে পরিচয়পত্র তৈরি করে দিব্যি কাটাচ্ছিল ভারতীয় জীবন। তবে শেষ পর্যন্ত হলদিবাড়ি থানার পুলিশের হাতে ধরা পড়ল সে। তার সঙ্গে ধৃত রূপকের পরিচয় দেওয়া ‘পাতানো বাবা’ উমেশচন্দ্র সেন। ধৃতদের বিরুদ্ধে জাল নথি ও ফরেনার্স অ্যাক্টে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৫ বছর বয়সে রূপক রাতে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের দেওয়ানগঞ্জ পঞ্চায়েতের মাদ্রাসা মোড় এলাকায় মেসো উমেশচন্দ্র সেনের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেখানেই নিজের পরিচয় বদলে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড তৈরি করে। এমনকি গত পঞ্চায়েত ভোটেও ভোট দেয় সে। পেশায় কাঠমিস্ত্রি রূপক এত বছর বাংলাদেশে ফেরেনি। নিজেকে এ দেশের নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল।
বুধবার সকালে শিলিগুড়ি থেকে উমেশচন্দ্র সেনের বাড়ি ফিরে আসলে পুলিশ তাকে ধরে ফেলে। কারণ ওই বাড়িতে আবাস যোজনার ঘরের কাঠের কাজ করছিল সে। এরপর রাতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরো হলদিবাড়ি ব্লকে। প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে একজন বাংলাদেশি নাগরিক ভারতের আধার ও ভোটার কার্ড তৈরি করল? তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
স্থানীয়দের দাবি, উমেশচন্দ্র সেনের আসলে এক ছেলে ও এক মেয়ে। কিন্তু ভোটার তালিকায় দেখা যায়, তাঁর দুই ছেলে — উমাপদ ও রূপক! এই গড়মিল কীভাবে স্থানীয় প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে গেল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
উমেশচন্দ্র সেন দাবি করেছেন, রূপক তাঁকে “বাবা” বলে ডাকত, তাই তিনিও তাঁকে দত্তকপুত্র হিসেবে মানেন। অন্য কোনও বেআইনি উদ্দেশ্য ছিল না। তবে পুলিশের দাবি, পুরো বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষ এবং রূপকের ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন মেখলিগঞ্জ মহকুমা আদালতের বিচারক।