Kaliachawk Reel Victim: ভার্চুয়াল জগতে মুহূর্তের জনপ্রিয়তার নেশা এক তরতাজা প্রাণ কেড়ে নিল। বছর আঠারোর আমিরুল শেখের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ মালদহের মোজমপুর গ্রাম। মোজমপুর হাইস্কুলের প্রাক্তন ছাত্র আমিরুল বছর দুয়েক আগে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পরেই পড়াশোনার ইতি টানেন। এরপর রিল ভিডিও বানানোই হয়ে ওঠে তাঁর নেশা ও প্যাশন।
দুপুরে গ্রামের পাশের একটি পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিলেন আমিরুল ও তাঁর চার বন্ধু। স্নান শেষে পুকুর পাড়ে থাকা একটি গাছের ডালে উঠে তাঁরা রিল ভিডিও বানাতে শুরু করেন। ঠিক সেই সময় ঘটে বিপদ। ওজনের চাপ সহ্য করতে না পেরে হঠাৎ ভেঙে পড়ে গাছের ডাল। পাঁচ তরুণই পুকুরে পড়ে যান। বাকিরা কোনও রকমে তীরে উঠে এলেও, সাঁতার না জানা আমিরুল আর ফিরলেন না।
বন্ধুদের চিৎকারে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। কিছুক্ষণ পরেই পুকুর থেকে উদ্ধার হয় আমিরুলের নিথর দেহ। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সিলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। চিকিৎসক জানান, অনেক আগেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
এই মর্মান্তিক ঘটনার পর আমিরুলের পরিবারে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না তাঁর বাবা শুভান শেখ। বলেন, “বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে পুকুরে গিয়েছিল। বাকিরা ফিরে এলেও আমার আমিরুল আর এল না।" কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
মোজমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আফরোজা খাতুন জানিয়েছেন, “পুকুর পাড়ে গাছে উঠে কয়েকজন রিল বানাচ্ছিল। সেই সময় ডাল ভেঙে পড়ে তারা সবাই জলে পড়ে যায়। আমিরুল সাঁতার জানত না, তাই ডুবে যায়।” কালিয়াচক থানার আইসি সুমন রায় চৌধুরী বলেন, “জলে ডুবে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।”