সাতপাক, সিঁদুর দান সব হয়ে গিয়েছিল। তবে বিয়ের কয়েক ঘণ্টা পরই উধাও হয়ে যান এক নববধূ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আলিপুরদুয়ারের শামুকতলা থানা এলাকায়। আলিপুরদুয়ার দু'নম্বর ব্লকের শামুকতলা রোড,দক্ষিণ মজিদখানা এলাকার বাসিন্দা সরকারি চাকুরিজীবী বাবলু মণ্ডলের সঙ্গে যশোডাঙা বিশ্বাসপাড়ার রিঙ্কু বিশ্বাসের বিয়ে হয় বৃহস্পতিবার,১৭ জুলাই রাতে।
বিয়ের একদিন পরেই অর্থাৎ শুক্রবার, বিকেলে নববধূকে নিয়ে বাড়িতে আসার কথা ছিল বাবলুর। কিন্তু দুপুর আড়াইটা নাগাদ রিঙ্কু তাঁর ভাইকে নিয়ে বিউটি পার্লারে সাজতে গিয়ে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান। বাড়িতে ফিরে বাবলু এই খবর জানতে পারেন। বরপক্ষ ও কনেপক্ষের অভিভাবক এবং পঞ্চায়েত সদস্যদের উপস্থিতিতে আলোচনার পর কনেপক্ষের তরফ থেকে শামুকতলা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।
নববধূর খোঁজ না পাওয়ায় রবিবারের সেই অনুষ্ঠান বানচাল হতে বসেছে। এখন আমন্ত্রিতদের ফোন করে সেকথা জানাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন পাত্রের বাড়ির লোকজন। নববধূ বাড়িতে না আসায় বরের বাড়িতে উৎসবের পরিবেশ শোকের আবহে পরিণত হয়েছে। আত্মীয়-স্বজনরা দূর-দূরান্ত থেকে এলেও নববধূর অনুপস্থিতি তাদের হতাশ করেছে। বাবলুর বাবা বিদ্যুৎ মণ্ডল জানিয়েছেন, ছেলের বিয়েতে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। এই ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন বর বাবলু। শনিবার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
ওসি বিশ্বজিৎ দে বলেন, ‘শুক্রবার রাতে বাসি বিয়ের দিন সন্ধ্যায় এক নববধূ নিখোঁজের অভিযোগ জমা পড়েছে। আমরা ওই বধূর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছি।’ পুলিশ ও এলাকার বাসিন্দাদের সন্দেহ, অন্য তরুণের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কজনিত কারণেই বৌভাতের আগেই পাত্রী উধাও হয়ে গিয়েছে। হয়তো তাঁর প্রেমিকের সঙ্গেই গা-ঢাকা দিয়েছেন নববধূ। তবে প্রশ্ন হল সম্পর্কের কথা কেন আগে জাননি ওই বধূ?
নববধূর মা বলেন, ‘আমার মেয়ের সঙ্গে অন্য কোনও তরুণের সম্পর্ক আছে বলে আমি জানতে পারিনি। তবে এই ঘটনার পর মেয়ের প্রতি সমস্ত ভরসা উঠে গিয়েছে। আমরা চাকরিজীবী ছেলের সঙ্গেই মেয়ের বিয়ে ঠিক করেছিলাম। কিন্তু এরপরও মেয়ে এভাবে আমাদের অসহায় করে পালিয়ে যাবে সেটা আমরা বুঝতে পারিনি।’