বাংলায় এবার সবচেয়ে বড় শিবের মন্দির প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে। ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, মন্দির প্রতিষ্ঠার জন্য ইতিমধ্যেই জমি খোঁজার কাজ শুরু হয়েছে। শিলিগুড়িতে এই মন্দিরটি হবে। কনভেনশন সেন্টারও তৈরি করা হবে।
দিঘাতে ইতিমধ্যেই পুরীর জগন্নাথ ধামের আদলে মন্দির তৈরি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এও জানিয়েছেন, ইকো পার্কের ঠিক উলটো দিকের জমিতেই 'দুর্গাঙ্গন' তৈরি করা হবে। যার জন্য খরচ হবে আনুমানিক ২৬২ কোটি টাকা। এবার শিবমন্দির তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'আমরা একটা জগন্নাথ ধাম করেছি দিঘায়। রাজারহাটে দুর্গাঙ্গন হবে। সেটার জমি পাওয়া গেছে। টেন্ডারে দেওয়া হয়েছে। নকশা বা স্থাপত্য কেমন হবে সেটা দেখে নিয়েছি। শিলিগুড়িতেও কনভেনশন সেন্টার হবে। সেজন্য জেলাশাসককে বলেছি, জমি দেখে রাখতে। তার পাশে আমি একটা বড় মহাকাল মন্দির করব। সবচেয়ে বড় শিব করব। এটা করতে হয়তো কিছুটা সময় লাগবে। তবে জমিটা বিনা পয়সায় দেব। সরকার সবটাই করে দেবে। সবাইকে নিয়ে মন্দিরটা হবে।'
তবে এই মন্দিরটা কবে প্রতিষ্ঠিত হবে বা কাজ শুরু হবে তা এখনই জানাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। প্রাথমিকভাবে জমি নির্বাচনের কাজ শুরু হয়েছে। সেটা পাওয়া গেলেই মন্দিরের কাজ শুরু হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে হিন্দু ভোট পেতে এই ঘোষণা মমতার মাস্টারস্ট্রোক বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ, দক্ষিণবঙ্গে ইতিমধ্যেই জগন্নাথ মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দুর্গাঙ্গনও হবে। সেই গতি বজায় রেখেই উত্তরবঙ্গেও এবার নজর তৃণমূল সুপ্রিমোর।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, উত্তরবঙ্গ বিজেপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। গত বিধানসভা ভোটে উত্তরবঙ্গ থেকে ভালো সংখ্যক আসন পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। 'মন্দির রাজনীতির' উপর ভর করে সেই ভোটেই থাবা বসাতে চাইছে ঘাসফুল শিবির।