scorecardresearch
 

শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সহকারী-সভাধিপতির গাড়িতে আচমকা নীলবাতি, বিতর্ক

রোমার দাবি, বৃহস্পতিবার তাঁর গাড়িচালকের ইচ্ছা হয়, নীল বাতি লাগানোর। রোমার দাবি, “চালক তাঁকে বলেছিলেন দেখি কেমন লাগে”। তবে নীলবাতি লাগানো তিনি উপভোগ করছেন বলেও জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকে।

Advertisement
শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সহকারী-সভাধিপতির গাড়িতে আচমকা নীলবাতি, বিতর্ক শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সহকারী-সভাধিপতির গাড়িতে আচমকা নীলবাতি, বিতর্ক

দুদিন ধরে আচমকা গাড়িতে নীলবাতি লাগিয়ে ঘোরাফেরা শুরু করেছেন শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি রুমা রেশমি এক্কা। আর সেই গাড়ি নিয়ে একাধিক কর্মসূচি ও বৈঠকে গিয়েই নজরে পড়েছেন তিনি। শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিরোধীরা যেখানে কটাক্ষ ও আক্রমণ শাণিয়েছেন, সেখানে তৃণমূলের দাবি, তাঁরা নিয়ম জানেনই না। 

যাঁকে নিয়ে বিতর্ক, সেই রোমার দাবি, বৃহস্পতিবার তাঁর গাড়িচালকের ইচ্ছা হয়, নীল বাতি লাগানোর। রোমার দাবি, “চালক তাঁকে বলেছিলেন দেখি কেমন লাগে”। তবে নীলবাতি লাগানো তিনি উপভোগ করছেন বলেও জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকে।তিনি বলেন, “অনেক সময় যানজটের কারণে বৈঠকে পৌঁছতে দেরি হয়ে যায়। সহকারী সভাধিপতির নেমপ্লেট অনেক সময় ট্রাফিক লক্ষ্য করেন না। তাই গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।” নীল বাতি লাগানোর অনুমতি দিলে ভাল হয়, কাজে সুবিধা হয়।

এই বিষয় নিয়ে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি তথা তৃণমূল নেতা অরুণ ঘোষকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনিও জানিয়েছেন, রোমার গাড়িতে নীলবাতি লাগানোর কথা তিনি জানেন না। তাই এ নিয়ে কিছু বলতে পারবেন না। আর নীলবাতি লাগানো যায় কি না, তাও তাঁর জানা নেই। তবে মহকুমা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি গাড়িতে নীলবাতি লাগাতে পারেন না বলে দাবি করেছেন সিপিএম নেতা ও প্রাক্তন সভাধিপতি তাপস সরকার। তিনি অভিযোগ করেন, তৃণমূলের সবাই নিজেকে কেউকেটা মনে করেন।

সরকারি নিয়ম বলছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ যাঁরা করেন, সেই উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের গাড়িতে এবং আপৎকালীন পরিষেবা দেওয়া হয় এমন গাড়িতে নীলবাতি ব্যবহার করা যাবে। রোমা-বিতর্কে দার্জিলিঙের জেলাশাসক প্রীতি গোয়েল অবশ্য বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছেন বলে জানিয়েছেন। 

 

Advertisement