Dual Citizenship Controversy:পাসপোর্ট বাংলাদেশের। সে দেশেরই নাগরিক। কিন্ত আধার কার্ড ভারতের। এমন আজব ঘটনা জানা গেল কলকাতার আঞ্চলিক ফরেনার্স রেজিস্ট্রেশন অফিসের তরফে দুজনেরই বাংলাদেশি পাসপোর্ট নম্বর জানিয়ে ওঁদের ভারতীয় পরিচিতি প্রত্যাহারের সুপারিশ করার পর। বাংলাদেশের এক দম্পতির নামে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, শুধু এই একটা দম্পতি নয়, এর সঙ্গে আরও অনেক এমন বাংলাদেশি রয়েছেন যাদের ভারতীয় ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও নোটিশ শুধু একটি দম্পতির নামেই এসেছে।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত দুজনেরই ভারতীয় আধার কার্ড আছে। তবে স্ত্রীর ভোটার বা র্যাশন বা প্যান কার্ড নেই।ফরেনার্স রেজিস্ট্রেশন অফিসের তথ্য অনুযায়ী, কৃষ্ণকান্ত বর্মন ও শিল্পী মণ্ডল নামে ওই দুজন আদতে বাংলাদেশের বাসিন্দা।
কৃষ্ণকান্তের ভাই বিষ্ণু প্রকারান্তরে তাঁর দাদা-বৌদির বাংলাদেশি নাগরিকত্ব স্বীকার করলেন বুধবার। বিষ্ণুর কথায়, ‘দাদা-বৌদি এখন বাংলাদেশে আছেন। কীভাবে ওঁদের ভারতীয় নথি তৈরি হল, বলতে পারব না। কোনও চক্র থাকলেও আমার জানা নেই। তবে যারাই করুক, এসব নথি অনেক আগেই করা হয়েছে বলে আমার ধারণা।’ তিনি জানান, তাঁর সঙ্গে কৃষ্ণকান্ত ও শিল্পীর শেষ দেখা হয়েছিল ২০১০ সালে। তারপর তাঁরা চিকিৎসার জন্য দক্ষিণবঙ্গে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তখন ফোনে কথা হয়েছিল।
নির্বাচন কমিশনও ঘটনাটি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। এইরকম আরও অনেক বাংলাদেশির নাম ভোটার তালিকায় রয়ে গিয়েছে বলে কমিশন মনে করছে। তবে বেছে বেছে কেন মাত্র দুজনের নামে নোটিশ পাঠানো হল, তার ব্যাখ্যা মেলেনি। রাজ্য সরকার অবশ্য ফরেনার্স রেজিস্ট্রেশন অফিসের এই নোটিশ সম্পর্কে কিছু জানে না বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
নির্বাচন কমিশন অফিস সূত্রের খবর, কারও বাংলাদেশি পাসপোর্ট থাকলে তাঁর নাম কোনওভাবেই ভোটার তালিকায় থাকার কথা নয়। গোয়ালপোখর-২ ব্লকের ছোট হাসান গ্রামের বাসিন্দা হিসেবে যাঁদের ভারতীয় নথি রয়েছে, সেই কৃষ্ণকান্ত ও শিল্পীর বাবা-মায়ের নাম ভোটার তালিকায় ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে কমিশন সূত্রের খবর।
ওই দম্পতির বাংলাদেশ পাসপোর্ট দুটি কিংবা আধার কার্ড জাল হতে পারে বলেও নির্বাচন কমিশন সন্দেহ করছে। এই তথ্য সামনে আসায় চাকুলিয়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। চলতি মাসের ১৭ তারিখ ফরেনার্স রেজিস্ট্রেশন অফিস ওই নোটিশটি দিয়েছিল। কিন্তু জানাজানি হয় বুধবার। তারপরই হইচই শুরু হয়।