এ যেন রীতিমতো রাহাজানি। পথচলতি স্কুটার চালককে আটকে তার স্কুটারে থাকা চিপস, ভুজিয়া, পপকর্ন লুঠ করল এক দুষ্কৃতী। প্রাণের ভয়ে স্কুটার ফেলেই পালিয়ে গেলেন এক ব্য়ক্তি। পালিয়ে যাওয়ায় প্রাণে বাঁচলেন তিনি। অন্যথায় প্রাণ সংশয় হতে পারত। এদিকে স্কুটার চালক পালিয়ে যাওয়ায় নিশ্চিন্তে খাবারগুলি সাবার করলেন ওই দুষ্কৃতী। যা নিয়ে রীতিমতো হইচই শুরু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ডুয়ার্সের জলপাইগড়ি জেলার গজলডোবা লাগোয়া ওদলাবাড়ি এবং মালবাজারের মাঝখানে একটি চা বাগান এলাকায়। দুষ্কৃতীটি আর কেউ নয় একটি পূর্ণবয়স্ক হাতি।
স্কুটার নিয়ে যাওয়ার সময় হাতির সামনে পড়ে কোনও রকমে পালিয়ে প্রাণে বাঁচলেন এক ব্যক্তি। তিনি পালিয়ে গেলেও স্কুটারে থাকা চিপস-পপকর্ন ও স্ন্যাক্স জাতীয় খাবারের প্যাকেট সাবার করে দেয় হাতিটি। রবিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে ডুয়ার্সের রানিচেরা চা বাগানে। ভুট্টাবাড়ির জঙ্গলের দিকে যাওয়ার সময় হাতিটির সামনে পড়ে যান ওই স্কুটার আরোহী। স্কুটারে থাকা সেইসব চিপস ও স্ন্যাকস জাতীয় খাবার খেয়ে নেয় হাতিটি।
রবিবার কোথাও একা, আবার কোথাও দলবেঁধে বেশকিছু হাতিকে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে ওদলাবাড়ি ও সংলগ্ন এলাকাজুড়ে। শনিবার বিকেলে পাথরঝোরা চা বাগান সংলগ্ন নোয়ামবস্তির নদী তীরবর্তী এলাকায় শাবক সহ একপাল হাতিকে দলবেঁধে ঘুরতে দেখা গিয়েছিল। গরুবাথানের ভুট্টাবাড়ি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে প্রায় ৩০টি হাতির ওই দলটি নোয়ামবস্তিতে এসেছিল বলে কালিম্পং বন বিভাগের নোয়াম রেঞ্জ সূত্রে জানা গিয়েছে। বেশ কিছুক্ষণ পাহাড়, নদী ও জঙ্গল লাগোয়া ওই এলাকায় ঘোরাঘুরি করে দলটি নদীপথে সাইলি চা বাগানের দিকে এগিয়ে যায়।
এদিকে, রবিবার ভোরে আবার দলছুট একটি হাতিকে চেল নদী পাড়ের পশ্চিম ডামডিম, ক্ষুদিরামপল্লিতে দাপিয়ে বেড়াতে দেখা গিয়েছে। ঝিরিঝিরি বৃষ্টি মাথায় নিয়েই স্থানীয় লোকজন নিরাপদ দূরত্ব রেখে হাতিটির গতিবিধির ওপর নজর রাখতে শুরু করেন। জানা গিয়েছে, তারঘেরা জঙ্গল থেকে বেরিয়ে চেল নদী পেরিয়ে হাতি চলাচলের এই করিডরে সাম্প্রতিককালে জনবসতি ও একের পর এক নির্মাণ কাজ হওয়ায় বেশ কিছুদিন হাতির দল এই পথে চলাফেরা বন্ধ রেখেছিল। রবিবার ভোরে পুনরায় হাতিটিকে পুরোনো করিডরে দেখা যাওয়ার পর চিন্তিত স্থানীয়রা।