scorecardresearch
 

Sliguri-Sikkim Alternative Root: শিলিগুড়ি-সিকিম জাতীয় সড়ক বন্ধ, বিকল্প কী রাস্তা? অত্যন্ত জরুরি তথ্য

Sliguri-Sikkim Alternative Root: কালিম্পংয়ের জেলাশাসক বালাসুব্রমানিয়ান টি. জানিয়েছেন, রাবিঝোরা থেকে ২৯ মাইল পর্যন্ত NH 10 সম্প্রসারণের কাজ চলবে। এই সময় ওই রাস্তাটি বন্ধ রাখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ফলে সমস্ত ধরণের যানবাহনের চলাচল সাময়িকভাবে সীমিত এবং ডাইভার্ট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement
আজ থেকে ৩ দিনের জন্য বন্ধ হল শিলিগুড়ি-সিকিম NH-10, বিকল্প কী? আজ থেকে ৩ দিনের জন্য বন্ধ হল শিলিগুড়ি-সিকিম NH-10, বিকল্প কী?

NH 10 Sliguri-Sikkim Road Closed: আজ সোমবার সকাল থেকে পূর্ব ঘোষণামতো বন্ধ হল শিলিগুড়ি-সিকিমগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। রবিঝোরা থেকে গেইলখোলা পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তা নতুন করে মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। এ কারণে এদিন সকাল ৬টা থেকে ৭২ ঘণ্টার জন্য যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে। ৯ মে সকাল ছ’টায় ফের যান চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছেন কালিম্পংয়ের জেলা শাসক বালাসুব্রহ্মণ্যম টি।

এই রাস্তা বন্ধ হওয়ার জেরে জাতীয় সড়ক হয়ে সোজা ও অল্প দূরত্বে কালিম্পং এবং সিকিম যাওয়া আপাতত যাবে না।পর্যটকদের ঘুরপথে যেতে হবে। ফলে খরচ ও সময় দুইই বাড়বে। শিলিগুড়ি জংশন কিংবা নিউ জলপাইগুড়ি থেকে সহজেই ১০ নং জাতীয় সড়ক ধরে ছোট গাড়ি কিংবা বাসে করে পৌঁছে যাওয়া যেত সিকিমে। সময় লাগতো ৪ ঘণ্টা। কিন্তু এখন তা আর হবে না। এখন সিকিম পৌঁছাতে হলে সময় লাগবে প্রায় ৭ থেকে ৮ ঘন্টা। কারণ এখন নিউ জলপাইগুড়ি কিংবা শিলিগুড়ির জংশন এলাকা থেকে বাস কিংবা গাড়ি ধরে সিকিমে যেতে হলে সেবকের করোনেশন সেতুর ধরে গরুবাথান লাভা হয়ে তারপরে পৌঁছানো যাবে সিকিমে। এই ক্ষেত্রে একদিকে যেমন অনেকটা ঘুর পথে পৌঁছাতে হবে সিকিম রাজ্যে তেমনি অনেকটা সময় সাপেক্ষ।

কোন পথে যাতায়াত চলবে?
চিত্রেকালিম্পংআলগাড়ালাভাগোরুবাথান হয়ে কিছু যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য সেবকতিস্তাবাজারচিত্রে সর্বত্রই পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সেবকের দিক থেকে যে সমস্ত যানবাহন কালিম্পংয়ের দিকে যাচ্ছে সেগুলিকে করোনেশান সেতু হয়েডুয়ার্সের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পর্যটনের ভরা মরশুমে এভাবে ফের কালিম্পং এবং সিকিমের রাস্তা বন্ধ হওয়ায় পর্যটকরাও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

আরও পড়ুন

NH 10 (২৮.৮০ কিমি থেকে ২৬.৪০ কিমি) বরাবর রাবিঝোরা থেকে গেইল খোলার মধ্যে প্রসারিত বিটুমিনাস কাজের জন্য এই প্রতিবন্ধকতা বলে জানানো হয়েছে। কালিম্পংয়ের জেলাশাসক বালাসুব্রমানিয়ান টি. জানিয়েছেন, রাবিঝোরা থেকে ২৯ মাইল পর্যন্ত NH 10 সম্প্রসারণের কাজ চলবে। এই সময় ওই রাস্তাটি বন্ধ রাখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ফলে সমস্ত ধরণের যানবাহনের চলাচল সাময়িকভাবে সীমিত এবং ডাইভার্ট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

বিকল্প রুট/ট্রাফিক ডাইভারশন:

১) শুধুমাত্র ছোট যানবাহন রংপো থেকে মুনসং, ১৭ মাইল, গরুবাথান, আলগারাহ, লাভা হয়ে শিলিগুড়ির দিকে যাবে এবং এর বিপরীতে উল্টোপথে শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং যাবে।

২) চিত্রে থেকে ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করবে। কালিম্পং শহর আলগারাহ লাভা গোরুবাথান এবং শিলিগুড়ি এবং এর বিপরীতে

৩) পণ্যবাহী গাড়ি চিত্রে হয়ে কালিম্পং শহরে যাবে। সেখান থেকে আলগাড়া, লাভা, গরুবাথান এবং শিলিগুড়িতে যাবে একইভাবে উল্টোপথে ফেরত আসবে। এই রাস্তায় পণ্যবাহী গাড়ি রাত ৯ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত চলাচল করবে।

৪) পণ্যবাহী গাড়ি এবং ছোট যানবাহন রেসি, পেডং আলগাড়া লাভা গোরুবাথান রুটে, শিলিগুড়ি এবং এর বিপরীতে চব্বিশ ঘন্টা চলাচল করবে।

ফলে এই সুযোগে এক ধাক্কায় ভাড়াও দ্বিগুণ নিতে শুরু করেছে গাড়ি চালকেরা। সাধারণত সিকিমের রাজধানী গ্যাংটক পর্যন্ত ছোট শেয়ার গাড়ির ভাড়া জনপ্রতি প্রায় ৪০০ টাকা। সেখানে এই মুহূর্তে ভাড়া লাগছে প্রায় ৭০০ থেকে ১০০০ টাকার কাছাকাছি। অন্যদিকে সরকারি বাস এই তিন দিন যথেষ্ট কম রয়েছে। শুধুমাত্র যে বাসগুলি শিলিগুড়ি এসে পৌঁছচ্ছে শুধুমাত্র সেগুলি সিকিম যাচ্ছে। হলে হাতেগোনা বাস থাকায় বাধ্য হয়ে মোটা টাকা খরচ করেই সিকিম যেতে হচ্ছে যাত্রীদের।

গাড়ি চালকদের দাবি এই মুহূর্তে রাস্তা বন্ধ থাকায় সিকিম যেতে হলে দার্জিলিং কিংবা গরুবাথান লাভা হয়ে পৌঁছতে হচ্ছে। ফলে বেশ কয়েক কিলোমিটার ঘুর পথে পৌঁছাতে হচ্ছে। অনেকটা সময় লেগে যাচ্ছে এতে যেহেতু অনেক কিলোমিটার ঘুর পথে যেতে হচ্ছে ফলে খরচ বাড়ছে। তার পাশাপাশি যে গাড়ি চালক শিলিগুড়ি থেকে সিকিমে পৌঁছাচ্ছে তাকে সেখানে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হচ্ছে পরের দিন আসার জন্য। ফলে বেশি টা নিতে তাঁরা বাধ্য হচ্ছেন বলে দাবি করেন।

এর আগে টানা বৃষ্টি-দুর্যোগে পাহাড়ের উপরের অংশ নরম হয়ে উপর থেকে ক্রমাগত গড়িয়ে পড়ছিল পাথর। ফলে বিপজ্জনক হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় তাই ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল কালিম্পং প্রশাসন। এরপর একাধিকবার রাস্তা খোলা ও বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। অনেক জায়গায় রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাথর পড়ার ফলে। সেই রাস্তা পুনরায় পাহাড় কেটে সম্প্রসারণের কাজ চলছে। তার জন্যই মাঝে মধ্যে বন্ধ করে দিতে হচ্ছে শিলিগুড়ি থেকে সিকিমগামী একমাত্র জাতীয় সড়ক।

 
 

Advertisement