এ এক আজব মেলা! এখানকার মূল আকর্ষণ জুয়া খেলা। তাও আবার মহিলারাও অংশ নেন এতে। এই রীতি চলে আসছে বহু বছর ধরে। মেলায় চলে দেদার জুয়া। তাও খুল্লমখুলা। যেখানে পুরুষদের পাশাপাশি জুয়া খেলেন মহিলারাও। মূলাষষ্ঠী উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও জুয়াড়ির মেলা বসে। পুরাতন মালদা পৌরসভার মোকাতিপুর এলাকায়। এ বছরও আয়োজিত হল মেলা।
যাকে কেন্দ্র করে পুরুষদের পাশাপাশি জুয়া খেলায় মাতলেন মহিলারাও। অনেকে, অনেক রকম মেলার কথা শুনেছেন। কিন্তু যেদি বলি জুয়াড়ির মেলা তাহলে প্রথমেই যে নামটা মনে আসে তা হল, পুরাতন মালদা পৌরসভার মোকাতিপুর কলোনি এলাকা। এই এলাকাতেই মূলাষষ্ঠী উপলক্ষে যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে জুয়াড়ির মেলা। সেই চিরায়ত প্রথা মেনেই শনিবার মূলাষষ্ঠীর দিন মোকাতিপুর কলোনীতে এমনই আজব মেলা বসে।
তবে মেলা শুরুর প্রাক্কালে প্রতি বছরের মতো এবারও বেহুলা নদীর তীরে মূলাষষ্ঠীর পুজোপাঠ অনুষ্ঠিত হয়। সংসারের মঙ্গল কামনায় পুজোয় ব্রতী হন ভক্তিমতী মহিলারা। তারা বিশেষ ধরনের লেউড়ি ভোগ দিয়ে মা ষষ্ঠীর পুজো দেন। পুজোপাঠ শেষ হতেই শুরু হয় জুয়াড়ির মেলা। যে মেলায় পুরুষদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জুয়া খেলায় মেতে ওঠেন মহিলারাও।
কীভাবে এই মেলার প্রচলন?
কথিত রয়েছে প্রাচীনকালে জঙ্গলাকীর্ণ মোকাতিপুর এলাকায় হিংস্র জীব-জন্তুর আনাগোনা ছিল। তাই মূলাষষ্ঠীর পুজো করতে পুরুষদের সঙ্গে মহিলারা এই এলাকায় আসতেন।মহিলারা যখন পুজোয় ব্যস্ত থাকতেন, সেই সময় পুরুষরা তাসপাশা খেলে অবসর বিনোদন করতেন। সেই থেকেই নাকি এই মেলায় জুয়া খেলার প্রচলন এবং জুয়ারির মেলা হিসেবে পরিচিত লাভ।