Wall Plaster Murder Gangarampur: দেয়ালের ওপাশে যে লাশ লুকনো রয়েছে ঘুণাক্ষরেও তা কেউ জানতে পারেনি। রান্নাঘরের কার্নিশের ভেতরে সিমেন্ট আর ইটের আস্তরণে লুকিয়ে ছিল একটি পচাগলা দেহ। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থানার শিহুল গ্রামে ঘটে গিয়েছে এমনই এক হাড়হিমকরা ঘটনা।
৩১ বছরের সাদ্দাম নাদাপ, মালদার ইংরেজবাজার এলাকার বাসিন্দা এবং পেশায় এক ঠিকাদার, হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান ১৮ মে। কর্মসূত্রে ভাড়া থাকতেন আত্মীয় মৌমিতা হাসানের বাড়িতে—যিনি সম্পর্কে তাঁর কাকিমা। বহু খোঁজাখুঁজির পরও যখন কোনও খোঁজ মেলেনি, তখন ২৩ মে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর স্ত্রী। অভিযোগের নিশানা ছিল সোজা মৌমিতার দিকে।
তদন্তে নেমে পুলিশ সাদ্দামের মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে গ্রেফতার করে মৌমিতাকে। শুরু হয় জেরা। আর সেখানেই ফেটে পড়ে ভয়ংকর সত্যি! নিজেই স্বীকার করে নেয় খুনের কথা। জানায়, কীভাবে ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে দেহ ঢুকিয়ে দেয় বাবার বাড়ির রান্নাঘরের কার্নিশে। পরে সিমেন্ট, ইট ও প্লাস্টার দিয়ে করে দেয় প্রমাণ লোপাটের চেষ্টাও।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কার্নিশ ভেঙে উদ্ধার করে একটি বস্তায় মোড়া পচাগলা দেহ—সাদ্দামের নিখোঁজ হওয়ার ১২ দিন পর। তবে কেন এই খুন? এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে আর্থিক লেনদেন ও জমিজমা নিয়ে বিবাদের সম্ভাবনা উঠে এসেছে। মৃতের আত্মীয় সিরাজুল নাদাপও জানাচ্ছেন জমি সংক্রান্ত ঝামেলার কথা। বর্তমানে পুলিশ ঘটনার প্রতিটি দিক খতিয়ে দেখে পূর্ণাঙ্গ তদন্তে নেমেছে।