BLO-র স্বামীকে বেধড়ক মার, খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধেMalda BLO Attack: মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের সুলতাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাটিওন গ্রামে পার্শ্বশিক্ষিকা ও বিএলও-কে হুমকি ও মানসিক হেনস্তা, আর তাঁর স্বামীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল কংগ্রেসের এক প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবারের ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। অভিযুক্ত মোহাম্মদ কসিমউদ্দিন ঘটনার পর থেকেই পলাতক।
অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই কসিমউদ্দিন এসআইআর কাজের সময় পার্শ্বশিক্ষিকা ও স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক নিবেদিতা মণ্ডলকে নানা নির্দেশ দিতেন। নির্দেশ না মানায় তাঁকে প্রায়শই মানসিকভাবে হেনস্তা করা হতো। বৃহস্পতিবার জমির মধ্যে একা পেয়ে নিবেদিতার স্বামী কমল মণ্ডলকে নৃশংসভাবে মারধর করা হয়। অভিযোগ, অণ্ডকোষ চেপে ধরে তাঁকে খুনের চেষ্টা করেন অভিযুক্ত।
গুরুতর আহত অবস্থায় কমল মণ্ডলকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশ গোটা ঘটনাটি তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন চাঁচল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা।
নিবেদিতা জানান, ‘‘এসআইআর শুরু হওয়ার পর থেকেই কসিমউদ্দিন আমাদের বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছিল। নিজের নির্দেশ অনুযায়ী ফর্ম বিলি ও সংগ্রহের কাজ করতে বলছিল। রাজি না হওয়ায় আমার স্বামীকে মারধর করেছে।’’
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুরনো অভিযোগও রয়েছে। আগে এক সালিশি সভায় পুলিশকর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের দাবি, তিনি জমি-কারবার সংক্রান্ত অসংখ্য অসাধু কাজে যুক্ত।
রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে দোলাচল। কংগ্রেস দাবি করেছেন, কসিমউদ্দিন তাঁদের দলের কেউ নন, বরং তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী। প্রদেশ কংগ্রেস সম্পাদক মোস্তাক আলম জানান, ‘‘কংগ্রেস এমন আচরণ শেখায় না। উনি আমাদের কেউ নন।’’ তৃণমূলের তরফে আবার দাবি করা হয়েছে, অভিযুক্ত কংগ্রেস কর্মী। যদিও বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক রূপেশ আগরওয়াল অভিযোগ করেছেন, ‘‘তৃণমূলের আমলে এ সব স্বাভাবিক। ভোটার তালিকা সংশোধন বানচাল করতেই সমাজবিরোধীদের ব্যবহার করা হচ্ছে।’’