scorecardresearch
 

Beltar Toursim Kurseong: কার্শিয়াঙে মেঘে ঢাকা পাহাড়ের গায়ে সুইমিংপুল-চা বাগান-নদী, বেড়িয়ে আসুন

Beltar Toursim Postcard Location: কার্শিয়াংয়ের এই ছোট্ট গ্রাম বহুদিন প্রায় অন্তরালেই ছিল। এমনিতেই ছবির মতে সুন্দর লোকেশন।তবে এটি নতুন করে পর্যটক আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়েছে কটেজ ও সুইমিল পুলের নির্মানে। কার্শিয়াংয়ের মতো জনবহুল নয়। শান্ত, ফাঁকা, নিরিবিলি।

Advertisement
কার্শিয়াঙে মেঘে ঢাকা পাহাড়ের গায়ে সুইমিংপুল-চা বাগান-নদী, বেড়িয়ে আসুন কার্শিয়াঙে মেঘে ঢাকা পাহাড়ের গায়ে সুইমিংপুল-চা বাগান-নদী, বেড়িয়ে আসুন

Beltar Toursim Kurseong: একদিকে খাড়া পাহাড়। অন্যদিকে গভীর খাদ। তার গা বেয়ে চা বাগান। একদিকে কিছুটা সমতল। গায়ে ছোট ছোট সাজানো কিছু রঙিন কটেজ। কটেজের একদিকে সুইমিং পুল। অন্য়দিকে তিরতির করে বয়ে চলা পাহাড়ি নদীও রয়েছে। চারপাশে শুধু নীল আর সবুজ। কখনও মেঘ কখনও কুয়াশা। লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে মালদ্বীপ, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ঘুরতে যাওয়ার দরকার নেই। আমাদের রাজ্যেই এমন বিদেশি লোকেশনের মতো জায়গা হাতের কাছেই রয়েছে এমন সুন্দর জায়গা। শিলিগুড়ি থেকে খুব কাছেই কার্শিয়াংয়ের পাহাড়ের গায়ে এমন সুন্দর লোকেশন। জীবনে একবার যদি এই জায়গায় না যান, তাহলে আপনার ভ্রমণপিপাসু জীবনই বৃথা।

জায়গার নাম বেলটার। কার্শিয়াংয়ের এই ছোট্ট গ্রাম বহুদিন প্রায় অন্তরালেই ছিল। এমনিতেই ছবির মতে সুন্দর লোকেশন।তবে এটি নতুন করে পর্যটক আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়েছে কটেজ ও সুইমিল পুলের নির্মানে। কার্শিয়াংয়ের মতো জনবহুল নয়। শান্ত, ফাঁকা, নিরিবিলি। একান্তে সময় কাটানোর সুযোগ মেলে। চারদিকে চা বাগান। পাশেই রয়েছে কুলকুল করে বয়ে চলা একটা পাহাড়ি নদী। দু'দিকে মহারানি পাহাড় আর মার্গারেট হোপ চা বাগান। সারাক্ষণ মেঘের আনাগোনা, পাখির ডাক আর মন কেমন করে দেওয়া প্রকৃতি। তবে বুকিং পেতে আগাম বন্দোবস্ত করতে হয়।

বেলটার

রিভারসাইড রিসর্টের অন্যতম আকর্ষণ হল এর সুইমিং পুল। চারদিকে কটেজ আর মাঝখানে সুইমিং পুল। কনকনে ঠান্ডাতেও সুইমিং পুলে হুটোপাটি করেন মানুষ। নদীর ধারে বসে পিছনে রিসর্টের মৃদু আলো গায়ে মেখে রাতে বর্নফায়ারের মজাই আলাদা। কাঞ্চনজঙ্ঘার আলাদা সৌন্দর্য নজরে পড়বে এখানে। 

আরও পড়ুন

কীভাবে বুকিং?

বেলটার গ্রামের এই কটেজগুলি জিটিএ পরিচালিত। বুকিং করতে হবে জিটিএ-এর ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে কিংবা ফোন করে।

রিভারসাইড

কীভাবে যাবেন?

Advertisement

ট্রেনে বা প্লেনে শিলিগুড়ি আসুন। এনজেপি বা বাগডোগরা থেকে গাড়ি পাবেন। সেখান থেকে কার্শিয়াং হয়ে বেলটার রিভারসাইড রিসর্টে। খরচ বাঁচাতে চাইলে কার্শিয়াংয়ে এনবিএসটিসির সরকারি বাসে নেমে, কিংবা শেয়ার ট্যাক্সিতে নেমে সেখানে থেকে ৫০০ টাকায় চলে যান বেলটার।

কী দেখবেন?

কার্শিয়াংয়ে না থেকে বেলটারে থাকতে পারেন। আর কার্শিয়াং ঘুরে আসতে পারেন। এমনি কিছু না দেখলেও ২-৩ দিন স্বপ্নের মতো পার হয়ে যাবে। তা ছাড়াও এখান থেকেই গাড়ি ভাড়া করে ঘুরে নিতে পারেন কার্শিয়াংয়ের ঝুলন্ত ক্যাফে মার্গারেট ডেক। এছাড়াও চলে যান ডাওহিল, হনুমান টক, ইগলস ক্র্যাগ, গিদ্দাপাহাড়। 
 

 

Advertisement