জাতীয় সড়কের পাশে হোটেলে অবাধে চলছে অবৈধ কারবার। মধুচক্র থেকে নেশার আসর। এমনই অভিযোগ তুলে গ্রামবাসীরাই হোটেলে ভাঙচুর চালান। ২টি হোটেলে ভাঙচুর চালানো হয়। এলাকাবাসীর চাপের মুখে পড়ে একটি হোটেলে তল্লাশি চালায় পুলিশ। উদ্ধার হয় বিদেশি মদ। এদিন গ্রামবাসীরা ফাঁসিদেওয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। হোটেল মালিক পলাতক।
বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়া ব্লকের ধামনাগছে ঘটনাটি ঘটেছে। মধুচক্র এবং মদের অবৈধ কারবার চালানোর অভিযোগে গ্রামবাসীরা একজোট হয়ে হোটেলে ব্যাপক ভাঙচুর চালালেন। অভিযোগ, দীর্ঘদিন থেকে ধামনাগছে ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে একটি হোটেলে অবৈধ কারবার চলছে। বিজেপির স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের এক সদস্য বুধবার রাতে অভিযোগ পেয়ে হোটেলে পৌঁছন। তাঁর অভিযোগ, সেই সময় সেখানে জুয়ার আসর বসেছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় কয়েকজন নেতা। অভিযোগ, বিশ্ববাবুকে ঘিরে ধরে চলে মারধর। সেইসঙ্গে প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়া হয়।
বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয় মহিলারা দল বেঁধে এদিন হোটেলটিতে যান। ২টি হোটেলে ভাঙচুর চলে। নষ্ট করা হয় বিদেশি এবং দেশি মদ। স্থানীয় মহিলাদের অভিযোগ, সন্ধ্যার পর অপরিচিত যুবতীরা হোটেল কাম লজে এসে দীর্ঘক্ষণ কাটান। প্রায় প্রতিদিনই পুলিশকে সেখানে দেখা যায়। তবে বারবার অভিযোগ করা সত্ত্বেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করছে না।
মহিলাদের দাবি, ওই হোটেলের কারণে এলাকায় শান্তি নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি পারিবারিক কলহ বাড়ছে। অবিলম্বে স্থায়ীভাবে ওই হোটেল কাম বার বন্ধের দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা। তা না হলে বাসিন্দারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।