কার্শিয়াং থেকে বাজেয়াপ্ত হাতির দাঁত, হরিণের শিং, আগ্নেয়াস্ত্র, গ্রেফতার ৩

বন দফতর সূত্রের খবর, সাপ্টিগুড়িতে বন্যপ্রাণীর দেহাংশ পাচারকারীরা জড়ো হয়েছে, এখবর পেয়ে এদিন ভোর চারটা নাগাদ সেখানে অভিযান চালান সুকনা রেঞ্জের কর্মীরা। হাতির দাঁত, হরিণের শিং সহ গ্রেপ্তার করা হয় সঞ্জীব সহ তিনজনকে। দীর্ঘদিন থেকে এদের ধরার চেষ্টা করছিল বন দফতর।

Advertisement
কার্শিয়াং থেকে বাজেয়াপ্ত হাতির দাঁত, হরিণের শিং, আগ্নেয়াস্ত্র, গ্রেফতার ৩বনকর্মীদের জালে তিন পাচারকারী, উদ্ধার হাতির দাঁত, হরিণের শিং সহ আগ্নেয়াস্ত্র

বন্যপ্রাণীর দেহাংশ পাচারের অভিযোগে তিন পাচারকারীকে গ্রেফতার করল বন দফতর। কার্সিয়াং থানার সাপ্টিগুড়ির খেলাঘর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে সুকনা রেঞ্জের বনকর্মীরা। । হাতির দাঁত, হরিণের শিং সহ গ্রেপ্তার করা হয় সঞ্জীব সহ তিনজনকে। দীর্ঘদিন থেকে এদের ধরার চেষ্টা করছিল বন দফতর।

ধৃতদের নাম সঞ্জীব লামা (৫০), পরিমল সিং (৩৩)। দুজনেরই বাড়ি মাটিগাড়ার ফুলবাড়ি এলাকায়। অপর ধৃতের নাম কুমার প্রধান (৩৮)। সে মিলন মোড়ের বাসিন্দা। বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে একটি হাতির দাঁত, চারটি হরিণের শিং, একটি একনলা বন্দুক, ১১টি কার্তুজ ও পয়েন্ট ২৫ এমএম বুলেট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের কার্শিয়াং মহকুমা আদালতে তোলা হয়।

বন দফতর সূত্রের খবর, সাপ্টিগুড়িতে বন্যপ্রাণীর দেহাংশ পাচারকারীরা জড়ো হয়েছে, এখবর পেয়ে এদিন ভোর চারটা নাগাদ সেখানে অভিযান চালান সুকনা রেঞ্জের কর্মীরা। হাতির দাঁত, হরিণের শিং সহ গ্রেপ্তার করা হয় সঞ্জীব সহ তিনজনকে। দীর্ঘদিন থেকে এদের ধরার চেষ্টা করছিল বন দফতর।

রেঞ্জ অফিসার দীপক রসাইলি সংবাদমাধ্যমকে জানান, ভিনরাজ্যের পাচারকারীদের সঙ্গে এদের যোগাযোগ রয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান। বন্যপ্রাণীর দেহাংশ পাচার রুখতে বনকর্মীরা সবসময় সক্রিয় রয়েছেন। বনাঞ্চলগুলিতে নজর রাখা হচ্ছে।

এর আগে মার্চ মাসে প্যাঙ্গোলিনের আঁশ ও হরিণের শিং সহ একজনকে পাকড়াও করেছিল সুকনা বন বিভাগ। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, বন্যপ্রাণীর দেহাংশ নেপালে পাচারের উদ্দেশ্য ছিল তার। কীভাবে চলছে পাচারচক্র, কারা মাথা, কারা এর ক্যারিয়ার, এসব বিষয়ে তদন্তে নেমে সঞ্জীবদের নাম উঠে আসে। ২০১৮ সালে মাদারিহাটে গন্ডার শিকারের মাস্টার মাইন্ড এই সঞ্জীব। চোরা কারবারে যুক্ত এই দুষ্কৃতীর যোগাযোগ রয়েছে নেপাল এবং সিকিমেও। গন্ডার শিকারের ঘটনায় পাঁচ বছর জেলও খেটেছে সে। কিন্তু ছাড়া পেয়েই ফের অপরাধমূলক কাজে যুক্ত হয়ে পড়েছে।

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement