ভক্তিনগরে নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় ন’মাসের মধ্যে সাজা ঘোষণা করল জলপাইগুড়ি পকসো আদালত ৷ আসামি এক প্রতিবেশী বৃদ্ধ। তাকে ২০ বছরের সাজা শোনান বিচারক রিন্টু সুর। ২০২৪ সালের ১২ জুন ওই নাবালিকে ধর্ষণ করা হয়। তারপর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে প্রতিবেশী দোষী সাব্যস্ত হয়।
সাজা ঘোষণার নিয়ে সরকারি আইনজীবী দেবাশিস দত্ত জানান, বিচারক সাজাপ্রাপ্ত বৃদ্ধকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ৷ অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি ওই নাবালিকাকে ৪ লক্ষ টাকা সাহায্য করার জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২৪ সালের জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে নির্যাতিতার মা ভক্তিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার দিন নাবালিকা বাড়িতে একাই ছিল। সেই সুযোগে বাড়িতে আসে প্রতিবেশী বৃদ্ধ। বাড়ির বাইরে তাকে এক গলিতে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানেই তাকে ধর্ষণ করে।
নির্যাতিতার মায়ের আরও দাবি, তাঁর মেয়েকে বৃদ্ধ খুনের হুমকিও দিয়েছিল। তাতে ভয় পেয়ে যায় সে। তবে কয়েকদিন পর ফের ধর্ষণের চেষ্টা করে। সেবার স্থানীয় একটি নির্মীয়মাণ বাড়িতে এই কুকর্ম করার চেষ্টা করে বৃদ্ধ।
এই ঘটনার পর আর নির্যাতিতা চুপ করে থাকেনি। সে মা'কে বিষয়টি জানায়। এরপরেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় পরিবারের তরফে। তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে৷ নভেম্বর মাসে চার্জশিট দেওয়া হয়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। পকসো আইনের চারটি ধারায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়৷ এই মামলায় মোট ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। চার্জ গঠনের তিনমাসের মধ্যে সাজা ঘোষণা হল।