Kaliagunj Father Killed By Son: 'ঘুম থেকে উঠতে দেরি কেন?' জিজ্ঞেস করাই কাল হল, ছেলের হাতে খুন বাবা

Kaliagunj Father Killed By Son: নির্মল রায় পেশায় এক বেসরকারি সংস্থার কর্মী। স্ত্রী, দুই ছেলে নিয়ে তাঁর পরিবার। বড় ছেলে ভাস্কর কুমার রায় বাইরে থাকেন। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, লাঠির আঘাত সরাসরি লাগে নির্মলের ডান চোখের নিচে। প্রচণ্ড ব্যথায় তিনি চিৎকার করে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং অচৈতন্য হয়ে যান।

Advertisement
'ঘুম থেকে উঠতে দেরি কেন?' জিজ্ঞেস করাই কাল হল, ছেলের হাতে খুন বাবা

Kaliagunj Father Killed By Son: ছোট ছেলে সদ্য ঘুম থেকে উঠেছে। কেন এত দেরিতে উঠেছেএই প্রশ্ন করতেই আচমকা বাবার দিকেই ছুটে আসে একটি লাঠি। সেই আঘাতে গুরুতর জখম হন নির্মল। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ঘটে মৃত্যু। কালিয়াগঞ্জের অনন্তপুরের বুড়িডাঙ্গী এলাকায় এই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। তবে ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি বলে জানানো হয়েছে পুলিশষের তরফ থেকে।

নির্মল রায় পেশায় এক বেসরকারি সংস্থার কর্মী। স্ত্রী, দুই ছেলে নিয়ে তাঁর পরিবার। বড় ছেলে ভাস্কর কুমার রায় বাইরে থাকেন। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, লাঠির আঘাত সরাসরি লাগে নির্মলের ডান চোখের নিচে। প্রচণ্ড ব্যথায় তিনি চিৎকার করে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং অচৈতন্য হয়ে যান। প্রথমে তাঁকে কালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পাঠানো হয় রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজে, পরে আবার মালদা মেডিকেল কলেজে। বৃহস্পতিবার সকাল সাতটা নাগাদ সেখানে মৃত্যু হয় তাঁর।

ভাস্কর কুমার রায় বলেন, তিনি চান আইনি প্রক্রিয়ায় ন্যায় বিচার হোক। মৃতের ভাই উজ্জ্বল রায়ের অভিযোগ, পরিবারে মাঝেমধ্যেই দাদা, বৌদি এবং ছোট ছেলের মধ্যে মনোমালিন্য হতো। অনেকবারই মিটমাট করার চেষ্টা করেছেন তাঁরা। কিন্তু বিষয়টির এমন পরিণতি হবে তা ভাবেননি।

দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে মৃতদেহ এল এলাকায়। সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনায় ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। আশাকর্মী মায়া রায় ও তাঁর ছোট ছেলে শুভঙ্কর রায়ের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ তুলে তারা মৃতদেহ আটকে বিক্ষোভ দেখান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কালিয়াগঞ্জ থানার প্রচুর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। অভিযুক্ত দুই জনকে আটক করে পুলিশ।

 

POST A COMMENT
Advertisement