scorecardresearch
 

Biggest And Oldest Laxmi Puja Of North Bengal: উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড়? মালদার চুনিয়াপাড়ার লক্ষ্মী পুজো একশো বছর পুরনো

Biggest And Oldest Laxmi Puja Of North Bengal: সঠিক শুরুর বয়স সেভাবে জানা না গেলেও আয়োজকদের হিসেবে বয়স ১০০ পেরিয়ে গিয়েছে আগেই। আজীবন জাঁকজমকপূর্ণভাবে পুজো হয়ে আসতে দেখেছেন জেলার সকলেই। মাঝে শুধু দুটি বছর করোনায় খানিকটা জৌলুস হারিয়েছিল। এখন ফের স্বমহিমায় ফিরেছে পুজো।

Advertisement
উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড়? মালদার চুনিয়াপাড়ার লক্ষ্মী পুজো একশো বছর পুরনো উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড়? মালদার চুনিয়াপাড়ার লক্ষ্মী পুজো একশো বছর পুরনো
হাইলাইটস
  • পাঁচ দিন ধরে এখানে চলে লক্ষ্মী পুজো
  • দেবী এখানে পুজিতা হন সপরিবারে
  • পাঁচদিন ধরে চলে মেলা-উৎসব

Biggest And Oldest Laxmi Puja Of North Bengal: মালদা জেলা তো বটেই, প্রতিষ্ঠিত লক্ষ্মীপুজো যা জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, সে হিসেবে ধরতে গেলে এটিই সম্ভবত উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় লক্ষ্মীপুজো। প্রাচীনত্বের দিক দিয়েও এটি অন্য়তম পুরনো। ইংরেজবাজারের কোঠাবাড়ি চুনিয়াপাড়ার লক্ষ্মীপুজো বললে মালদার যে কেউ পুজো পর্যন্ত পৌঁছে দেবে। 

শতাব্দী পেরিয়েছে পুজোর বয়স
সঠিক শুরুর বয়স সেভাবে জানা না গেলেও আয়োজকদের হিসেবে বয়স ১০০ পেরিয়ে গিয়েছে আগেই। আজীবন জাঁকজমকপূর্ণভাবে পুজো হয়ে আসতে দেখেছেন জেলার সকলেই। মাঝে শুধু দুটি বছর করোনায় খানিকটা জৌলুস হারিয়েছিল। এখন ফের স্বমহিমায় ফিরেছে পুজো।

পাঁচদিন ধরে চলে পুজো
এতক্ষণ এই পুজোর বিষয়ে যা যা বলা হল, তার কোনওটাই এই পুজোর মূল বিশেষত্ব নয়, এখানকার পুজোর মূল বিশেষত্ব হল, এই লক্ষ্মী পুজো একদিন নয়, পূজিতা হন ৫ দিন ধরে। আবার তিনি একা নন, তাঁর সঙ্গে পুজো পান তাঁর গোটা পরিবারই। এখানে দেবী লক্ষ্মীর সঙ্গে পুজিত হন গণেশ, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, দেবী অন্নপূর্ণা, ব্রহ্মা, নারায়ণ, শিব এমনকী রাম এবং লক্ষণও। প্রতিমা তৈরির কারিগরও বংশপরম্পরায় কাজ করে আসছেন।

আরও পড়ুন

এখানে দেবী লক্ষ্মী বিসর্জনও যান
এখানে দেবী লক্ষ্মীকে বিসর্জনও দেওয়া হয়। নৌকায় চাপিয়ে সমস্ত প্রতিমাগুলিকে পুরাতন মালদার সদরঘাটে নিয়ে যাওয়া হয় পুরনো রীতি মেনেই। সেই নৌকোয় করেই আবার কোঠাবাড়িতে নিয়ে আসা হয় দেবীকে। তারপর মহানন্দা নদীতে নিয়ে গিয়ে বিসর্জন দেওয়া হয়। বিসর্জনকে কেন্দ্র করে আবার সেদিন মেলা বসে  মহানন্দার পাড়েও। আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ আসেন সপরিবার লক্ষ্মীর ভাসান দেখতে।

জনশ্রুতি অনুযায়ী স্বপ্নাদেশ পেয়ে পুজো শুরু হয়
জানা যায়, এই পুজোর সূচনা করেছিলেন এলাকার জমিদার ক্ষিতীশচন্দ্র রায়। দেবী স্বয়ং স্বপ্নে দেখা দিয়ে পুজোর নির্দেশ দিয়েছিলেন, এমনই জনশ্রুতি আছে এলাকায়। আজও লক্ষ্মী পুজো হয় পুজো জমিদারবাড়ির পুরোনো রীতি মেনেই।  পুজোর গুরুত্ব ও জমক এতটাই বেশি যে এই পুজোকে ঘিরে বসে বিশাল মেলাও। বিপুল জনসমাগম হয় মেলাতে।কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে ৫ দিন ধরে চলে মেলা। 

Advertisement

Advertisement