Leopard Attack Death: ফের নাগরাকাটায় চিতাবাঘের দাপট। এক কিশোরকে তুলে নিয়ে গেল চিতাবাঘ। হাড়হিম ঘটনায় ওই নাবালকের খুবলানো নিথর দেহ উদ্ধার হয়। বুধবার সন্ধ্যায় হাড়হিম করা মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ডুয়ার্সের নাগরাকাটায়। এর আগেও নাগরাকাটায় বাড়ির সামনে থেকে শিশুকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল চিতাবাঘ। তাকেও বাঁচানো যায়নি। ফের একই ঘটনা ঘটায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কিশোরের নাম মহম্মদ করিমুল হক। বয়স বছর ১২। কলাবাড়ি টিই হাইস্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া সে। বুধবার সন্ধ্যায় একটি চিতাবাঘ বাড়ির সামনেই দাঁড়িয়ে থাকাই ওই নাবালককে মুখে করে তুলে নিয়ে যায়। এরপর কাছেই একটি বেগুন খেতে ঢুকে পড়ে। কয়েকজন দেখতে পেয়ে চেঁচামেচি শুরু করলে চিতাবাঘটি করিমূলকে সেখানেই ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে তার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে বাড়িতে আনা হয়। ততক্ষণে তার মৃত্যু হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বানারহাট থানার পুলিশ সহ বন দপ্তরের বিন্নাগুড়ি ও ডায়না রেঞ্জের কর্মীরা। আর এলাকায় আসতেই বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বন দপ্তরকে।
এর আগে জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে একটি শিশুকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় চিতাবাঘ। কিছুক্ষণ পর চা-বাগানের ঝোপে মেলে শিশুটির খুবলে খাওয়া মৃতদেহ। ঘটনায় এলাকায় শোক ও ক্ষোভ দানা ছড়িয়ে পড়ে।এটিও নাগরাকাটার আংরাভাসা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কলাবাড়ি চা বাগানের ঘটনা। শিশুটির বয়স মাত্র ৩ বছর। ঘটনার পরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা বাগান। বনকর্মী ও পুলিশকে ঘিরে স্থানীয়রা তুমুল ক্ষোভ দেখাতে থাকে। বহু কষ্টে বুঝিয়ে শিশুটির দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন এই বাগানে দীর্ঘদিন ধরে চিতাবাঘের একের পর এক হামলা চলছে। তবুও বন দফতরের পক্ষ থেকে সদর্থক কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয় নি। এর আগে বন দফতরের পেতে রাখা খাঁচায় সেখানে পরপর ৩ টি চিতাবাঘ ধরাও পড়ে। তাতেও এলাকাবাসীর ক্ষোভ কমছে না।