Malda Flyover Accident Death: সম্প্রতি মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে ভবানীপুরে একটি ফ্লাইওভার তৈরি হয়েছে। তাতে কিছুদিন হল যাতায়াত শুরু হয়েছে। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে মোটরবাইক নিয়ে উঠতি বয়সীদের কায়দা-কসরত। এমনই খেলা দেখাতে গিয়ে প্রাণ হারাল দুই যুবক। দুঃসাহসিক স্টান্ট করতে গিয়ে ফ্লাইওভারের ওপর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় দুটি বাইকের। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি মনোজিৎ সরকার জানান, সিভিক ভলান্টিয়ার ২৪ ঘণ্টা মোতায়েন করা হবে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষও আলো বসানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এই ফ্লাইওভারটিতে সম্প্রতি যান চলাচল শুরু হতেই শুরু হয় বাইক স্টান্ট, ভিডিও তোলার প্রতিযোগিতা। এর আগেও দুর্ঘটনা ঘটেছে, স্থানীয়রা বারবার আলো ও পুলিশের দাবিতে সরব হয়েছেন। কিন্তু প্রশাসনের টনক না নড়ায় এবার ঘটল বড়সড় অঘটন—দুই তরুণের মৃত্যু। গতকাল দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
ফ্লাইওভারের মুখে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় দুটি বাইকের। আহত হন এক তরুণ ও তিন স্কুলছাত্র। তাঁদের ভর্তি করা হয় মালদা জেলা হাসপাতালে। রবিবার সকালে মৃত্যু হয় পবিত্র দাস (২৪) নামে এক বাইকচালকের, যিনি পিপলা গ্রামের বাসিন্দা। ওই রাতেই মৃত্যু হয় ১৫ বছরের আক্তার ওয়াজ ওরফে তনুজের, সে দশম শ্রেণির ছাত্র ও অঙ্গারমণির বাসিন্দা।
আক্তারের সঙ্গে থাকা মহম্মদ রাজকে কলকাতায় রেফার করা হয়েছে এবং তৃতীয় কিশোর মালদা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনজনই নাবালক, অর্থাৎ লাইসেন্স ছাড়াই তিনজন একটি বাইকে স্টান্ট করতে গিয়ে বেরিয়েছিল। ভিডিও তোলার সময়ই ঘটে দুর্ঘটনা। ঘটনার পর উত্তাল জনতা।
এলাকাবাসীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। পথ অবরোধ করা হয়। অভিযোগ ওঠে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাঠিচার্জ করে। যদিও প্রশাসনের দাবি, লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটেনি। স্থানীয়দের ক্ষোভ—বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও আলো বসানো বা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কোনো উদ্যোগ নেয়নি পুলিশ। অন্ধকার নামতেই এলাকাটি হয়ে ওঠে বিপজ্জনক।
মৃতদের পরিবারের দাবি:
পবিত্রর দাদা রামদেব দাস সংবাদমাধ্যমকে জানান, পবিত্র বাবাকে আনতে যাচ্ছিল। ফ্লাইওভারে ওঠার মুখে উলটো দিক থেকে তিনজন কিশোর তার বাইকে সামনে থেকে ধাক্কা মারে। ভিডিও করতে করতে দ্রুতগতিতে আসছিল ওরা। পুলিশের নজরদারি থাকলে ভাইকে হয়তো হারাতে হত না।