Malda TMC Inner Clash: মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে ফের তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মন্ত্রী তথা বিধায়ক তাজমুল হোসেন ও জেলা পরিষদ সদস্য বুলবুল খানের অনুগামীদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। রাতারাতি অশান্ত হয়ে ওঠে হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকা। তদন্তে নেমেছে পুলিশ, তবে শুক্রবারও এলাকায় এখনও থমথমে পরিবেশ।
বুলবুল খানের অনুগামীদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে তাঁদের তিনজন হরিশ্চন্দ্রপুর সদরে পান খেতে যান। সেই সময় ব্লক তৃণমূল যুব সভাপতি বিজয় দাসের ভাই দুর্জয় দাস, সাইরাজ সহ তাজমুল ঘনিষ্ঠ কয়েকজন তাঁদের উপর হামলা চালায়। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁদের।
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বুলবুল খানের অনুগামীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে সদরে জড়ো হন। বিক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকা। খোদ জেলা পরিষদ সদস্য বুলবুল খান ঘটনাস্থলে পৌঁছন। এরপর ঘেরাও করা হয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানাকে। দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি ওঠে। শেষ পর্যন্ত পুলিশের আশ্বাসে ঘেরাও তুলে নেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর ফের প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল। বুলবুল খানের অভিযোগ, এলাকায় একচেটিয়া সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে। তাঁর অনুগামীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। অন্যদিকে, মন্ত্রী তাজমুল হোসেনের দাবি, “আমার বাড়ি সদর এলাকা থেকে অনেক দূরে। রাত দশটার মধ্যে আমি বাড়ি চলে আসি। কী ঘটেছে, জানি না।”
প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরে হরিশ্চন্দ্রপুরে তাজমুল ও বুলবুল অনুগামীদের দ্বন্দ্ব একাধিকবার প্রকাশ্যে এসেছে। পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোটে খারাপ ফলাফলের পর থেকেই দলের একটি অংশ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছে। দুর্গাপুজোর সময়ও বুলবুল ঘনিষ্ঠ কয়েকজন নেতার বাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে। তাঁদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছিল। এবার ফের সেই ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবেই হামলার অভিযোগ উঠেছে।


