Malda Head Mistress Arrested: লোন পেতে ভুয়ো নথি জমা! অভিযোগ উঠল এক প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। মালদার মানিকচক ম্যানেজড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুলতানা খাতুনকে সোমবার গ্রেফতার করল মানিকচক থানার পুলিশ। অভিযোগ, ব্যাঙ্কে লোনের আবেদন করতে গিয়ে তিনি বিদ্যালয় পরিদর্শকের সিল ও সই নকল করেন।
লোনের কাগজে জাল সই-সিল
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে এনায়েতপুর এলাকার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে লোনের জন্য আবেদন করেছিলেন সুলতানা খাতুন। সেই আবেদনের সঙ্গে জমা দেন বিদ্যালয় পরিদর্শকের ‘সুপারিশ’ সহ একাধিক নথি।
কিন্তু পরিদর্শক সঞ্চয়িতা মণ্ডল পরে দেখেন, সেগুলি সম্পূর্ণ জাল। নিজের নাম ও সই জাল করে ব্যবহার করা হয়েছে দেখে তিনি মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত, গ্রেফতার সুলতানা খাতুন
লিখিত অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। একাধিক নথি খতিয়ে দেখে তদন্তকারীরা নিশ্চিত হন, জালিয়াতির বিষয়টি সত্যি। এরপর রবিবার সন্ধ্যায় সুলতানাকে গ্রেফতার করা হয়।
চাপে স্কুল কর্তৃপক্ষ, উদ্বেগে অভিভাবক মহল
এক প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে অস্বস্তিতে পড়েছে স্কুল প্রশাসন। পড়ুয়াদের অভিভাবকদের একাংশ বলছেন, ‘‘শিক্ষকেরা যাঁরা সমাজ গড়ার কাজ করেন, তাঁদের এমন কাজ করাটা নিন্দনীয়। পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করুক। দোষ প্রমাণিত হলে কড়া শাস্তি চাই।’’
পুলিশের আশ্বাস: সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ খুবই গুরুতর। সব দিক খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই সুলতানা খাতুনের লোনের নথি, ব্যাঙ্কের জমা দেওয়া কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-নিয়োগের পরিকাঠামো ও নজরদারি ব্যবস্থাও। তদন্তে উঠে আসা তথ্য সামনে এলে স্পষ্ট হবে, এই জালিয়াতির নেপথ্যে আর কেউ যুক্ত রয়েছেন কি না।