Malda News: ছেলের দেহ ফ্রিজে, মালদায় দু'সপ্তাহ ধরে আগলে মা-বাবা, কেন?

সৎকার না করে কিশোর ছেলের দেহ ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রেখেছেন বাবা-মা। এমন ঘটনা ঘটেছে মালদায়। প্রায় ১৫ দিন ছেলের মৃতদেহ বাড়িতে বরফ দিয়ে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। কারণ জানলে মন ভারাক্রান্ত হতে বাধ্য।

Advertisement
ছেলের দেহ ফ্রিজে, মালদায় দু'সপ্তাহ ধরে আগলে মা-বাবা, কেন? দু’সপ্তাহ ধরে ফ্রিজে কিশোর ছেলের দেহ আগলে বাবা-মা


 সৎকার না করে কিশোর ছেলের দেহ ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রেখেছেন বাবা-মা। এমন ঘটনা ঘটেছে মালদায়। প্রায় ১৫  দিন ছেলের মৃতদেহ বাড়িতে বরফ দিয়ে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। কারণ জানলে মন ভারাক্রান্ত হতে বাধ্য। আসলে মানিকচকের ভুতনির বেসরকারি স্কুলের হোস্টেলের মধ্যে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু ঘটে। ঘটনায় প্রধান শিক্ষক-সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ তোলেন মৃতের বাবা। কিন্তু পুলিশ কাউকেই এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করেনি। এই পরিস্থিতিতে নিজের ছেলের দেহ সৎকার করেননি বাবা। ঘটনাটি মালদার ভূতনি থানার হিরানন্দ পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কেদারটোলা গ্রামের।

পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের ছেলেকে খুন করা হয়েছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সরব হয় মৃত ছাত্রের পরিবার। প্রথমে ওই ছাত্রের দেহের  ময়নাতদন্ত  হয় মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পুলিশ ময়নাতদন্ত রিপোর্টে আত্মহত্যার কথা জানায় পরিবারকে। তবে সেই কথা মানতে রাজি নয় পরিবার। সঠিক ময়নাতদন্তের দাবিতে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয় পরিবার। আদালতের নির্দেশ না আসা পর্যন্ত বাড়িতেই ফ্রিজে এবং বরফের মধ্যে রাখা হয় ছেলের দেহ।

১৫ দিন ধরে বরফ চাপা দিয়ে ছেলের দেহ আগলে রেখেছেন বাবা-মা। শেষপর্যন্ত মালদার মানিকচকের সেই কিশোরের দ্বিতীয়  ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে মানিকচক থানার তদন্তকারী অফিসার ছাত্রের দেহ কল্যাণী এইমসে নিয়ে যাবেন। সেখানে ময়নাতদন্তের সময় ভিডিওগ্রাফি হবে। দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আলাদা হলে তদন্তকারী অফিসারকে জানাবেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 

প্রঙ্গত, ২ জুলাই রাতে মানিকচকের একটি মিশনারি স্কুলের হস্টেলে শ্রীকান্ত মণ্ডল নামে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রের দেহ উদ্ধার হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ দাবি করে আত্মহত্যা করেছে শ্রীকান্ত। কিন্তু পরিবার তা মানতে চায়নি। তাদের দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষের অত্যাচারের শিকার হয়েছে ১৩ বছরের শ্রীকান্ত। 

POST A COMMENT
Advertisement