Gajol Fake Currency Case: পুজোর মুখে গাজোলে জাল নোট নিয়ে বাজার করতে এসে ধরা পড়লেন এক ব্যক্তি। শনিবার গাজোল থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে মশালদিঘি গঞ্জের হাটে এই ঘটনা ঘটেছে। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০০ টাকার ১৩টি জাল নোট। অভিযুক্তের নাম সাদিকুল আলম, বাড়ি চাঁচল থানার গোয়ালপাড়া এলাকায়।
গাজোল থানার পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জাল নোটের উৎস জানার চেষ্টা চলছে। এই ঘটনায় পুজোর মুখে স্বাভাবিকভাবেই চিন্তায় ব্যবসায়ী মহল। হাটের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এখন থেকে ৫০০ টাকার নোট নেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁরা আরও সতর্ক থাকবেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাদিকুল হাটে ঢুকে প্রথমে এক কৃষকের কাছ থেকে সবজি কিনে ৫০০ টাকার একটি নোট দেন। তারপর আরেক দোকানে বেগুন কিনে ফের জাল নোট দেওয়ার চেষ্টা করেন। সেই দোকানদার নোট দেখে সন্দেহ হওয়ায় তা নিতে অস্বীকার করেন। এরপর তৃতীয় এক দোকানে জিনিস কিনতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েন তিনি। মুহূর্তে হাটে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ভিড় জমে যায়, কয়েকজন ক্ষিপ্ত হয়ে চড়-থাপ্পড় মারেন তাঁকে। খবর পেয়ে গাজোল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে সাদিকুলকে উদ্ধার করে। পরে তাঁর কাছ থেকে ৫০০ টাকার ১৩টি জাল নোট উদ্ধার হয়।
সবজি বিক্রেতা পরিমল বিশ্বাস জানান, ‘‘লোকটি আমার কাছ থেকে বেগুন কিনতে গিয়ে ৫০০ টাকার নোট দেন। আমি সেটা নিতে চাইনি। পরে শুনি সে জাল নোট দিয়ে অন্য দোকানে ধরা পড়েছে।’’ অন্যদিকে ব্যবসায়ী বিষ্ণুপদ বিশ্বাস বলেন, ‘‘সে আমার কাছ থেকে ৬০ টাকার সবজি কিনে ৫০০ টাকার নোট দেয়। আমি ৪৪০ টাকা ফেরত দিই। পরে জানতে পারি, সেই নোট জাল। তখন সঙ্গে সঙ্গে ছুটে এসে দেখি, পুলিশ তাঁকে ধরে নিয়ে গিয়েছে।’’
বিষ্ণুপদ বিশ্বাস গাজোল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃত ব্যক্তি এই এলাকার নয়। তিনি বাইকে করে হাটে এসেছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তাঁর বাড়ি চাঁচলের গোয়ালপাড়ায়।