Fake Voter Card: দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর ব্লকের নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রতনপুর সহ বেশ কিছু এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ভোটার কার্ড নিয়ে কাজ করতে গিয়ে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন। একাধিক নামে ভোটার কার্ড ইস্যু হলেও তাদের কার্ড নম্বর এক। ফলে কাজ করতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে তাঁদের। আর বিষয়টি সামনে আসতেই হইচই শুরু হয়েছে। ভুয়ো কার্ড তৈরির চক্রের অভিযোগ উঠেছে।
যেমন রতনপুরের বাসিন্দা শাহিন আলম পেশায় স্কুল শিক্ষক। বেশ কয়েক মাস আগে এনআরসি সংক্রান্ত প্রয়োজনে নিজের ভোটার কার্ড সহ অন্য নথিপত্র অনলাইনে খতিয়ে দেখছিলেন তিনি। তখনই তিনি দেখতে পান তাঁর ভোটার কার্ড নম্বরের প্রেক্ষিতে আহমেদাবাদের বাসিন্দা আয়ুব খানের ভোটার কার্ডও ইস্যু হয়েছে। দুটি কার্ডের নম্বর এক হলেও নাম ঠিকানা সম্পূর্ণ আলাদা। তিনি বিষয়টি প্রশাসনকে জানান।
এরপর তিনি খোঁজ নিয়ে জানা যায় নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাগনের বাসিন্দা তসলিম মিয়াঁরও একই সমস্যা। তিনি বর্তমানে মালদায় সরকারি চাকরি করেন। তসলিমের ভোটার কার্ডের নম্বর দিয়ে গুজরাটে জিগনেশ মকভানা নামে আরও একজনের ভোটার কার্ড রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। একই নম্বরে একাধিক ব্যক্তির ভোটার কার্ড কী করে তৈরি হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারটা আসল, কার নকল এখন তা নিয়ে তদন্তের দাবি করেছেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবারই নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের সভা থেকে ভুয়ো ভোটার কার্ড (Voter Card) নিয়ে সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। জানিয়েছেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ভোটার তালিকায় কারচুপি করা হচ্ছে। এই ঘটনার দায় বিজেপির উপর চাপিয়েছেন তিনি। পালটা সরব হয়েছে বিজেপিও। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের দিনই দক্ষিণ দিনাজপুরে এমন দু’জন ভোটারের পরিচয় প্রকাশ্যে এল যাদের ভোটার কার্ড নম্বরের প্রেক্ষিতে ভিনরাজ্যের দুই ভোটারের নামও পাওয়া গিয়েছে। অর্থাৎ একই ভোটারকার্ড নম্বর প্রেক্ষিতে দু’জন ব্যক্তিকে দুটি ভোটার কার্ড ইস্যু করা হয়েছে।