বিবাহিত প্রেমিককে বিয়ের দাবিতে তাঁর বাড়িতে পৌঁছলেন বিবাহিতা প্রেমিকা। ফল যা হওয়ার হল, প্রেমিকের স্ত্রী, মা, বৌদিরা রে রে করে তেড়ে এলেন। কপালে জুটল উত্তম-মধ্যম। এমনকী বাঁশ-লাঠি দিয়ে বেদম প্রহার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। বাঁশ, লাঠি নিয়ে চলল মারধর, ধাওয়া। এভাবে প্রেমিকের পরিবারের বেদম মারে জখম হয়েছেন বিবাহিত প্রেমিকা। ঘটনা জেনে অবশ্য বেপাত্তা প্রেমিক। জখম প্রেমিকাকে ভর্তি করা হয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
জানা গিয়েছে, প্রেমিক ও প্রেমিকা দুজনেই বিবাহিত। দুজনেরই ছেলেমেয়েও রয়েছে। এরপরও চুটিয়ে চলছিল প্রেম পর্ব। পাঁচ বছর ধরে চলছিল প্রেমপর্ব। তবে, আর লুকিয়ে চুড়িয়ে প্রেম নয়, একসঙ্গে ঘর সংসার করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে হাজির প্রেমিকা। আর এতেই বাঁধলো যত গন্ডগোল।
আড়ালে আবডালে বা চুপিসারে স্বামীর বা বাড়ির পুরুষের মেলামেশা যদিও মেনে নিয়েছিল পরিবার। কিন্তু, তাই বলে একেবারে স্ত্রীর মর্যাদা দাবি করে বাড়িতে হাজির! তা মানবেন কেন? ক্ষেপে উঠে প্রেমিকাকে আক্রমণ করে বসলেন প্রেমিকের স্ত্রী, দুই বৌদি আর মা। বাঁশ, লাঠি নিয়ে চলল মারধর, ধাওয়া। এভাবে প্রেমিকের পরিবারের বেদম মারে জখম হয়েছেন বিবাহিত প্রেমিকা। ঘটনা জেনে অবশ্য বেপাত্তা প্রেমিক। জখম প্রেমিকাকে ভর্তি করা হয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
ঘটনা পুরাতন মালদহের মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতিডুবি গ্রামে। প্রেমিকের স্ত্রী, মা সহ চারজনের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেছেন আক্রান্ত মহিলা। আক্রান্ত মহিলার দাবি, গ্রামেরই বাসিন্দা পেশায় ব্যবসায়ী যুবকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তাঁর। জানা গিয়েছে, গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে চলছে তাঁদের সম্পর্ক । ভালোবাসার সম্পর্ক ক্রমে শারীরিক সম্পর্ক পর্যন্ত গড়ায়। এমনকী ভালবাসার টানে বিবাহিত জেনেও প্রেমিককে ব্যবসার জন্য এক লক্ষ টাকাও দেন তিনি। কিন্তু, এই পরকীয়া সম্পর্কে কারণে নিজের পরিবারে সমস্যা তৈরি হয়। তাই প্রেমিককে বিয়ের জন্য বলেন তিনি।পুলিশ জানিয়েছে, পরকীয়া সম্পর্কের জেরে মারধর, হামলার অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।