৩ দিন আগে থেকে নিখোঁজ, বাংলাদেশ সীমান্তের ওপার থেকে উদ্ধার বালুরঘাটের শিক্ষকের দেহBalurghat Teacher Death Mystery: 'তিনদিন আগে বাজার করতে যাচ্ছি' বলে বেরিয়েছিলেন। বহু খোঁজাখুঁজি করেও হদিশ মেলেনি। অবশেষে নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন পর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নদী থেকে মিলল স্কুলশিক্ষকের দেহ। ঘটনাটি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তাঁর মৃত্য়ু কীভাবে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম সুকান্ত চক্রবর্তী। বালুরঘাট শহরের পাওয়ার হাউস এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। সুকান্তবাবু পেশায় প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক। তিনি ৬ নভেম্বর বাড়ি থেকে বের হন সকালের দিকে। বলেন বাজারে যাচ্ছেন। তারপর আর ফেরেননি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর হদিশ না পেয়ে পরিবারের তরফ থেকে বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর বন্ধুবান্ধবরা পোস্ট করতে থাকেন। কিন্তু কাজ হয়নি।
অবশেষে বৃহস্পতিবার আত্রেয়ী নদী থেকে একটি অজ্ঞাত পরিচয়ের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। নদীর ওই অংশ আবার বাংলাদেশ সীমান্তের ভিতরে। ফলে ওই দেহ ঘিরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় সীমান্তে। নিখোঁজ এই শিক্ষকের মৃত্যুকে ঘিরে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। পরিবার সদস্যদের প্রথম থেকে দাবি ছিল, এই শিক্ষকের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়, এমনকি আত্মহত্যা করার মতও তাঁর কোন রকম আচরণ ছিল না। সব দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে তাঁর। তারপর থেকে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। জীবনযাপনও অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যায়। এমনকী মাদকে অভ্যস্তও হয়ে পড়েন বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিকে বাংলাদেশ সীমান্তের ওপারে হওয়ায় দেহ উদ্ধারে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের জিরো পয়েন্টে ফ্ল্যাগ মিটিং হয়। এরপর কফিনবন্দি মৃতদেহ তুলে দেওয়া হয় বিএসএফ আধিকারিকদের হাতে। সেখান থেকে বালুরঘাট থানার পুলিশের তত্ত্বাবধানে শুক্রবার সুকান্ত চক্রবর্তীর মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়।