Tab Scam Arrest: ট্যাব কেলেঙ্কারিতে চোপড়া থেকে গ্রেফতারি অব্যাহত, আটক আরও ৩

Tab Scam Arrest: ট্যাব কেলেঙ্কারি কাণ্ডে চোপড়াকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ট্যাব দুর্নীতির কিনারা করতে এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকটি জেলা থেকে পুলিশের স্পেশাল টিমের সদস্যরা চোপড়া থানা এলাকায় এসে ঘুরে গিয়েছেন। অনেকে আসছেন। ট্যাব কাণ্ডে এদিনের দু’জনকে নিয়ে চোপড়া থানা এলাকার বাসিন্দা সহ মোট ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।

Advertisement
ট্যাব কেলেঙ্কারিতে চোপড়া থেকে গ্রেফতারি অব্যাহত, আটক আরও ৩ট্যাব কেলেঙ্কারিতে চোপড়া থেকে গ্রেফতারি অব্যাহত, আটক আরও ৩

Tab Scam Arrest From Chopra North Dinajpur: ট্যাব কাণ্ডে (TAB Scam) ধরপাকড় অব্যাহত। এবার চোপড়ায় বৃহস্পতিবার আরও দুজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এদিন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট সাইবার থানার তদন্তকারী দল ও চোপড়া থানার পুলিশের যৌথ অভিযানে দাসপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতের নাম মেহেবুব আলম। এলাকায় অনলাইন ক্যাফে রয়েছে তার।

অন্যদিকে, বসিরহাট সাইবার থানার পুলিশ চোপড়া পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযান চালিয়ে চুটিয়াখোর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে মহম্মদ ইয়াসিন আলি নামে আরেকজনকে গ্রেফতার করেছে। জানা গিয়েছে, ইয়াসিন পেশায় হাতুড়ে চিকিৎসক। তিনি আবার তৃণমূলের (TMC) বুথ সভাপতি। চোপড়া থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্যাব কাণ্ডে নাম জড়িয়ে পড়ায় এদিন দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নিয়ে এদিনই দুই জেলার পুলিশ রওনা দিয়েছে।

ট্যাব কেলেঙ্কারি কাণ্ডে চোপড়াকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ট্যাব দুর্নীতির কিনারা করতে এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকটি জেলা থেকে পুলিশের স্পেশাল টিমের সদস্যরা চোপড়া থানা এলাকায় এসে ঘুরে গিয়েছেন। অনেকে আসছেন। ট্যাব কাণ্ডে এদিনের দু’জনকে নিয়ে চোপড়া থানা এলাকার বাসিন্দা সহ মোট ১৮ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

এর আগে ট্যাব কাণ্ডে (TAB Scam) উত্তর দিনাজপুর থেকে আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে শিলিগুড়ি, মালদা থেকেও একই চক্রে জড়িত সন্দেহে একাধিক গ্রেফতার হয়েছে। এদিন আরও অভিযুক্ত গ্রেফতার হওয়ায় হইচই পড়ে গিয়েছে।

ট্যাব কেলেঙ্কারির তদন্ত করতে কলকাতা পুলিশ স্পেশাল ইনভেস্টিগেটিং টিম বা সিট গঠন করেছে। তদন্ত শুরু করতেই একের পর এক নাম সামনে উঠে এসেছে। একাধিক জেলায় অভিযান চালাচ্ছে এই দলটি। এমনই সূত্র ধরে তদন্ত অভিযানের গত সোমবার শিলিগুড়ি থেকে সিটের হাতে গ্রেফতার হয়েছে ৩ অভিযুক্ত। এর মধ্যে একজন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকও ছিলেন। তার আগের দিনই রবিবার কোচবিহারের দিনহাটাতেও প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক মনোজিৎ বর্মন নামে একজনকে গ্রেফতার করে মালদা পুলিশ। সিটের ধারণা, এই দুর্নীতির সঙ্গে আরও বহু মানুষ যুক্ত রয়েছে। ধৃতদের জেরা করলে সেই নামগুলি মিলবে। 

Advertisement

ট্যাব কেলেঙ্কারিতে ১৯১১ জন পড়ুয়ার টাকা গায়েব হয়ে যাওয়ার অভিযোগ সামনে এসেছে। তাদের প্রাপ্য ট্যাবের টাকা তারা পায়নি। সেই টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা খুঁজতে ও দুর্নীতির শিকড় খুঁজে বের করতে ইতিমধ্যেই  কলকাতা পুলিশ সিট (SIT) গঠন করেছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, স্কুলের সার্ভার হ্যাক করে কিংবা পোর্টালের পাসওয়ার্ড চুরি করে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে দুষ্কৃতীরা। তদন্ত শুরু করতেই একের পর এক নাম সামনে উঠে এসেছে। এদিন শিলিগুড়ি থেকে প্রাথমিক স্কুলের এক শিক্ষক-সহ ধরা পড়েছেন ৩ জন। শিলিগুড়ি থেকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাদের। আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে চাইতে পারেন তদন্তকারীরা।

 

POST A COMMENT
Advertisement