NH-10 Landslide Road Closed 2025: নতুন করে ধস ১০ জাতীয় সড়কে, ফের বন্ধ সিকিমগামী রাস্তা

NH-10 Landslide Road Closed 2025: বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচলের অনুমতি দেয় প্রশাসন। এর মধ্য়েই শুক্রবার বিরিকদাড়ায় ধসের কারণে দুবার বন্ধ করে দিতে হয়, জাতীয় সড়কটি। এদিন সকালে ফের বন্ধ হয়ে গেল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক।

Advertisement
নতুন করে ধস ১০ জাতীয় সড়কে, ফের বন্ধ সিকিমগামী রাস্তানতুন করে ধসে বিধ্বস্ত ১০ জাতীয় সড়ক, ফের বন্ধ সিকিমগামী রাস্তা

NH-10 Landslide Road Closed 2025: দুর্ভোগ অব্যাহত। ৪ দিন পর গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খুলেছিল শিলিগুড়ি-সিকিম ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। কিন্তু ফের নতুন করে ধস নেমে বন্ধ হয়ে গেল ওই রাস্তা। ফলে সিকিমে যাওয়ার বন্দোবস্ত ফের তথৈবচ। বলা হচ্ছে পরিস্থিতি আগের তুলনায় আরও ভয়াবহ। গত ২৪ ঘণ্টায় পাহাড়ে লাগাতার ভারী বর্ষণে তিস্তায় তলিয়ে গিয়েছে জাতীয় সড়কের একটা বড় অংশ।

শনিবার সকালে এই ঘটনাটি ঘটেছে ২৯ মাইলে। এরপরেই প্রশাসনের তরফে জাতীয় সড়কটি দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শিলিগুড়ি-সিকিম সংযোগকারী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক স্থায়ী মাথাব্যথায় পরিণত হয়েছে। এই রাস্তায় ছোটখাট ধস আগেও পড়ত তবে গত কয়েক বছরে এটা যেন রীতিমতো আতঙ্কের দ্বিতীয় নাম হয়ে উঠেছে। এই রাস্তা দিয়ে বিশেষ করে বর্ষার সময় যাতায়াত মানে কখন কী হয় তা অনিশ্চিত। 

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচলের অনুমতি দেয় প্রশাসন। এর মধ্য়েই শুক্রবার বিরিকদাড়ায় ধসের কারণে দুবার বন্ধ করে দিতে হয়, জাতীয় সড়কটি। এদিন সকালে ফের বন্ধ হয়ে গেল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। ২৯ মাইলে জাতীয় সড়কের একটা বড় অংশ আজ সকালে তিস্তায় তলিয়ে যায়।  বাকি অংশের অনেকটা রাস্তা বসে যায়। এরপরই ফের প্রশাসনের তরফে জাতীয় সড়কটি দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। কাজে নেমেছে ন্যাশনাল হাইওয়ে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড’।

এদিকে, কালিম্পংয়ে গতকাল রাতে ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ার ফলে এমন পরিস্থিতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আজ সকালে ধস নামায় বন্ধ হয়ে যায় মিরিক রোডে যান চলাচলও। ফলে বন্ধ রয়েছে শিলিগুড়ি ও মিরিকের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ।

এদিকে উত্তরবঙ্গ ও সিকিমের পাহাড়-সমতল জুড়ে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত স্বাভাবিক জনজীবন। বাড়ছে পাহাড়ি নদীর জলস্তর। তিস্তা ও জলঢাকা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় ‘হলুদ’ সঙ্কেত জারি করেছে সেচ দপ্তর। গত ৩ অগাস্ট একটানা বৃষ্টির জেরে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে শ্বেতীঝোরায় ভয়াবহ ধস নামে। ফলে বাংলা-সিকিমের মধ্যে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়।

Advertisement

২০২৩ এর অক্টোবরের পর থেকে বারবার বিপর্যস্ত এই জাতীয় সড়ক। আগে রাজ্যের দায়িত্বে থাকলেও এখন তা কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে দেখভালের জন্য। তারপরও রাস্তার হাল বেহাল। ন্যাশনাল হাইওয়ে অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের (এনএইচআইডিসিএল) তরফে জানা গিয়েছে, নিয়মিত ধস নামতে থাকায় কাজ এগোচ্ছে না। 

দিন কয়েক আগে সেবক ও কালিঝোরার মাঝে জাতীয় সড়কে বোল্ডার পড়ে পুরো রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল। একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রশাসন যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়। পরদিন বোল্ডার সহ ধস সরিয়ে পুনরায় যানবাহনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এবার ধস নেমেছে বিরিকদাড়ায়। এখানে অবশ্য আগেও অনেকবার ধস নেমেছে। এর আগে সিকিমে টানা বৃষ্টি ও ধসের জেরে বিপদে সেখানে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা। ধসের জেরে বিপর্যস্ত হয়েছিল উত্তর সিকিমের একাধিক এলাকা। কোথাও রাস্তা ভেঙে পড়েছে, কোথাও পাহাড়ে ধস নেমেছে। তার জেরে সেখান থেকে সড়কপথ ধরে বাইরে আসতে পারছেন না পর্যটকরা। তাঁদের উদ্ধারকার্য শুরু করতে নামতে হয় সেনাবাহিনীকে। 

 

POST A COMMENT
Advertisement