NBMCH Patient Death: শুক্রবার সকালে চতুর্থীর দিন উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। মৃতের নাম বিশ্বজিৎ চন্দ (৩৬), বাগডোগরার বাসিন্দা। অভিযোগ, ট্রলি না পেয়ে অপেক্ষা করে কাঁধে করে নিয়ে যেতে হয়। অব্যবস্থার কারণেই মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের।
বিশ্বজিৎবাবু সকালে শারীরিক সমস্যায় হাসপাতালে আসেন। জরুরি বিভাগের প্রাথমিক পরীক্ষা শেষে তাঁকে মেডিসিন বিভাগে ভর্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও ট্রলি নেই বলে তাঁকে ওয়ার্ডে নেওয়া হয়নি। তাঁর সঙ্গে থাকা আত্মীয়দের দাবি, ট্রলি পাওয়া যায়নি, তাই তাঁকে কাঁধে করে করিডর পার হয়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। মর্মান্তিক এ ঘটনাটিতে রোগীর পরিবারের মতে, সময়ে মেডিসিন বিভাগে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি, এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা এ মৃত্যুর মূল কারণ।
এই ঘটনায় ভরা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতাল চত্বরে। নিহতের আত্মীয়-পরিজনরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন, হাসপাতালে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে ওঠেন। ডেপুটি সুপার সুদীপ্ত মণ্ডল জানান, অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হবে, প্রয়োজনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
NBMCH‑এ সাম্প্রতিককালে একাধিকবার অনিয়ম ও গোলমালের ঘটনা সামনে এসেছে। গত বছরের একটি প্রতিবাদে, কলেজ ও হাসপাতালে পরীক্ষার মেইনিপুলেশন, থ্রেট কালচার ও দলবদল কোন্দলের অভিযোগ উঠেছিল ছাত্র, ইন্টার্ণ ও জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষ থেকে। ওই ঘটনার পর কয়েকজন ছাত্র ও চিকিৎসককে ভর্তি বাতিল বা সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
একই হাসপাতালে মর্গের ধারণক্ষমতার শেষ হয়ে যাওয়ায়, অপরিচিত মৃতদেহ গ্রহণ বন্ধ করতে হয়েছিল মর্গে জায়গা নেই। এছাড়া, রোগীদের সেবা ও পরিচালনায় নানা ত্রুটি ও অভিযোগ উঠেছে। যেমন রোগ-দেহ পরিবহনণ অব্যবস্থা, অব্যাহত ইনফ্রাস্ট্রাকচার সমস্যাসহ।