North Bengal Tourism Hill Destination Lungsel: কালিম্পং (Kalimpong) শহর থেকে বা ডুয়ার্সের (Dooars) পাথরঝোরা চা বাগান (Patharjhora Tea Estate) থেকে চড়াই রাস্তা পার হয়ে তবে পৌঁছতে হবে এই গ্রামে। কালিম্পং (Kalimpong) জেলার লাংসেলের আবহাওয়া সবচেয়ে দারুণ। না খুব ঠান্ডা আবার না খুব গরম। শীতকাল ছাড়া সব সময়ই্ এমন আবহাওয়া থাকে। চারদিকে পাহাড় দিয়ে ঘেরা এই গ্রাম। পাহাড় বেয়ে নেমে আসছে ঝর্নার জল। লাংসেলের প্রতিটি রাস্তা কাঁচা। হেঁটে ঘোরার জন্য আদর্শ জায়গা। সৌন্দর্য অপার। এখানে মেঘ-লুকোচুরি খেলে সারা বছর।
কীভাবে যাবেন?
কলকাতা থেকে হাওড়া (Kolkata To Howrah) বা শিয়ালদহে (Sealdah) দূরপাল্লার ট্রেনে করে নামতে হবে নিউ জলপাইগুড়ি (NJP) স্টেশনে। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে কালিম্পং (Kalimpong)। আবার সেখান থেকে আরও একটি গাড়িতে অল্প কিছুক্ষণের পথ গেলেই পৌঁছবেন লাংসেলে (Lungsel)। কেউ গজলডোবা (Gajoldoba) দিয়ে ডুয়ার্স (Dooars) দিয়েও যাওয়া যায় ওদলাবাড়ি (Odlabari) হয়ে।
আরও পড়ুনঃ শিলিগুড়ি থেকে মাত্র ১০০ টাকায় ঘুরে আসুন এই ৭ জায়গা, দেখে মন ভরে যাবে
কোথায় থাকবেন?
লাংসেলে (Lungsel) বেশ কয়েকটি সুন্দর হোমস্টে (Kalimpong Home Stay) রয়েছে। যাওয়ার আগে সেগুলির মধ্যে কোনও একটি বেছে নিতে পারেন। অনলাইনে বুকিং (Online Booking) করা যায়। এই সময় সবেচেয়ে সুন্দর থাকে এলাকা। বর্ষার আগে পর্যন্ত এই এলাকা ফুলে, মেঘে ভরা থাকে। এই আছে, এই নেই মেঘের আনাগোণা দেখতে দেখতে রোমান্টিক হয়ে পড়াটা আশ্চর্যের নয়। বসন্তে দারুণ সব অর্কিড, রডোডেনড্রন এবং নাম না জানা অনেক ফুলের সমারোহে মন হারাতে বাধ্য। হানিমুন কাপলদের জন্য আদর্শ ডেস্টিনেশন। যদিও এখনও অতটা পপুলার নয়।
খরচ কত?
থাকার খরচ হোমস্টেতে মাথাপিছু প্রতিদিন ১৮০০ থেকে ২৫০০ টাকা। আগে থেকে বুকিং না করে গেলে জায়গা নাও মিলতে পারে। অন্যদিকে যাতায়াতের খরচ গাড়িভাড়ার উপর নির্ভর করে। কালিম্পং থেকে ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা ভাড়া। শিলিগুড়ি থেকে গেলে ভাড়া বেশি পড়বে। ৩৫০০ থেকে ৪ হাজার টাকা নেবে।
কী দেখবেন এখানে?
লাংসেলে যাওয়ার জন্য সব থেকে ভাল সময় হল যখন খুব ঠান্ডা এবং গরম কোনওটাই থাকবে না সেই সময়। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস। চারটি পাহাড় দিয়ে ঘেরা এই সুন্দর গ্রামের নিজের পছন্দের মানুষের হাত ধরে কাঁচা রাস্তা দিয়ে পাহাড়ের বয়ে যাওয়া ঝরনার জলের পাশ দিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারলে বাকি সব কিছু ছেড়ে দেওয়া যায়। চারপাশে শুধু সবুজ আর সবুজ। আর রয়েছে প্রচুর পাখি। সবটা চিনবেনও না। মনে হতে পারে বিদেশের কোনও কান্ট্রি সাইড লোকেশনে রয়েছেন। রাতে ঝিঁঝিঁ পোকার শব্দ আর মিটিমিটি আলোয় আপনি শহর ভুলে যাবেন। এখানে এলাচের বাগান রয়েছে। লাংসেলের খুব কাছেই ঝান্ডি (Jhandi)। যেটি এখন পপুলার ডেস্টিনেশন হয়ে উঠেছে। যদি ভোরে উঠতে পারেন, তাহলে ঝাণ্ডির সূর্যোদয় একটা দেখার মতো জিনিস।