North Bengal Weather Forecast: উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে এখনই বৃষ্টি কমার পূর্বাভাস নেই। আগামী কয়েকদিন জারি থাকবে ভারী বর্ষণ (Weather Update)। বালুরঘাট থেকে মালদা, জলপাইগুড়ি থেকে সিকিম লাগোয়া পশ্চিমবাংলার সমতল এলাকা টানা বৃষ্টিতে নদীর জলে প্লাবিত। আপাত নিরীহ নদীগুলি ফুঁসছে। প্রশাসনের উপর চাপ বাড়ছে। বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে মালদা-বালুরঘাটে প্রশাসন ও এলাকার জনপ্রতিনিধিদের উপর ক্ষোভ রয়েছে সাধারণ মানুষের মনে।
গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে জলস্তর বেড়ে গিয়েছে বালুরঘাট (Balurghat) শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত আত্রেয়ী (Atreyee) খাঁড়িতে। জল নিয়ন্ত্রণে রাখতে শহরের আন্দোলন সেতু সংলগ্ন স্লুইস গেট খুলে দেয় সেচ দপ্তর। আর সেই জলছাড়াই রীতিমতো বিপদ ডেকে আনল শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সদরঘাট কলোনি এলাকায়। খাঁড়ির দু’পারে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন, যার জেরে বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং আশঙ্কায় রয়েছে আরও বহু পরিবার।
গঙ্গা আর ফুলহর। দুই নদীর ভাঙনে কার্যত বিধ্বস্ত মালদার (Malda) রতুয়া আর হরিশ্চন্দ্রপুর। রতুয়ায় জঞ্জালিটোলা, ভাসারামটোলা, বঙ্কুটোলার মতো গ্রামের পর গ্রাম গিলে খেয়েছে গঙ্গা। এখানে মহানন্দাটোলা আর বিলাইমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের বহু পরিবার এখন নিঃস্ব। অন্যদিকে হরিশ্চন্দ্রপুরে গোবরাঘাট থেকে রশিদপুরের বিভিন্ন জায়গায় পাড় ভাঙছে ফুলহর। গত সপ্তাহে ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পায়খানা মোড় এলাকায় ফুলহর বাঁধের নীচে অসংরক্ষিত এলাকার প্রায় ৩০ ফুট ভাঙনের কবলে পড়ে। যদিও জেলা সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন অস্থায়ীভাবে বেশ কিছু এলাকায় ভাঙন রোধের কাজ শুরু হয়েছে। জল কমলে এলাকাগুলির বিভিন্ন জায়গায় স্থায়ীভাবে কাজ হবে।
এদিকে তিস্তা (Teesta) নদীর জলস্তর নামলেও প্লাবিত গ্রামগুলির অবস্থা পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি ও হলদিবাড়ির প্লাবিত কিছু গ্রাম থেকে জল নামলেও জায়গায় জায়গায় ছিল থকথকে কাদা। আবার কিছু গ্রাম এখনও জলমগ্ন। একইসঙ্গে ময়নাগুড়ি ও নাগরাকাটায় নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দু’টি বাঁধ। এদিকে, ধসে ক্ষতিগ্রস্ত কার্শিয়াংয়ের দিলারামে ১১০ জাতীয় সড়ক। সেখানে রাস্তার একাংশ ধসে গিয়েছে। এই অবস্থায় পাহাড়ে জোর বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি ফের ঘোরালো হতে পারে বলে পাহাড় ও সমতলের বাসিন্দাদের আশঙ্কা।