'স্বামীকে গ্রেফতার করুন নইলে...' থানাতেই হাতের শিরা কেটে ফেললেন বধূ, রায়গঞ্জে চাঞ্চল্য

সাইবার ক্রাইম থানার আইসির সামনেই নিজের হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করল বধূ। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ থানার কর্ণজোড়া ফাঁড়ির অন্তর্গত সাইবার ক্রাইম থানার আইসির ঘরের সামনে।

Advertisement
'স্বামীকে গ্রেফতার করুন নইলে...' থানাতেই হাতের শিরা কেটে ফেললেন বধূ, রায়গঞ্জে চাঞ্চল্য'স্বামীকে গ্রেফতার করুন নইলে...' থানাতেই হাতের শিরা কেটে ফেললেন বধূ, রায়গঞ্জে চাঞ্চল্য

তাঁর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দিয়েছে খোদ নিজের স্বামী। বিয়ের মাত্র তিন মাসের মাথায় এমন ঘটনা ঘটিয়েছে অভিযুক্ত বলে জানা গিয়েছে। রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ার সাইবার থানায় অভিযোগ করেও কোনও লাভ হয়নি। ক্ষোভে থানায় আইসির সামনেই হাতের শিরা কেটে ফেললেন বধূ। ঘটনায় হকচকিয়ে  গিয়েছেন আইসি সহ পুলিশ কর্মীরা। তাঁরাই ওই মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে বধূ কিছুতেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দিচ্ছিলেন না বলে অভিযোগ। জেলা পুলিশের ডিএসপি লিয়ং তামাং সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে। তারপরেও কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটল তা বুঝতে পারছি না। ঘটনার তদন্ত চলছে।‘

সাইবার ক্রাইম থানার আইসির সামনেই নিজের হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করল বধূ। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ থানার কর্ণজোড়া ফাঁড়ির অন্তর্গত সাইবার ক্রাইম থানার আইসির ঘরের সামনে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১১ মাস আগে টুঙ্গিদিঘির সাধনপুরের বাসিন্দা এক ব্যক্তির সঙ্গে ডালখোলার বাসিন্দা ওই গৃহবধূর বিয়ে হয়। বিয়ের তিন মাসের মাথায় স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় নিজের স্ত্রীর নগ্ন ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেয় অভিযুক্ত স্বামী।

এই ঘটনায় কর্ণজোড়ার সাইবার ক্রাইম থানায় এপ্রিল মাসে লিখিত অভিযোগ দায়ের হলেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এদিন শুক্রবার মাকে সঙ্গে নিয়ে কর্ণজোড়ার সাইবার ক্রাইম থানায় যান ওই মহিলা। সেই সময় পুলিশ কর্মীরা তাঁর সঙ্গে বাজে ব্যবহার ও আচরণ করে বলে অভিযোগ। এরপরেই নিজের ব্যাগ থেকে ধারালো অস্ত্র বের করে নিজের বাঁ হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই বধূ। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ ইচ্ছাকৃত মামলাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। ওই বধূর মার অভিযোগ, করণদিঘি থানায় সাত মাস আগে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। সেখানকার তদন্তকারী অফিসার অভিযুক্ত ছেলে পক্ষের কাছ থেকে মোটা টাকা নিয়ে মামলাটিকে হালকা করার চেষ্টা করছে।

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement