Mathabhanga College Controversy: কোচবিহারের মাথাভাঙা কলেজে বন্ধ কক্ষে এক তরুণের সঙ্গে শিক্ষিকাকে হাতেনাতে ধরল কলেজ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক হইচই মাথাভাঙ্গা কলেজে। অভিযুক্ত দুজনকেই ধরে বুধবার পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজের তরফে পুলিশে একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, পড়ুয়াদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণের জন্য তিন বছর আগে একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে মউ স্বাক্ষর হয়। ওই সংস্থাই এই শিক্ষিকাকে নিয়োগ করেছিল কম্পিউটার শেখানোর জন্য। বুধবার কলেজ চলাকালীন ওই শিক্ষিকাকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণকেন্দ্রের বন্ধ ঘরে তাঁর বন্ধুর সঙ্গে হাতেনাতে ধরে ফেলে কলেজ কর্তৃপক্ষ। পুলিশ তাঁদের অভিভাবকদের ডেকে পাঠানোর পাশাপাশি প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থানায় আটক রেখেছে দুজনকে।
জানা গিয়েছে, ওই যুবক স্কুলের কেউ নয়। তবে প্রশ্ন উঠছে, নিরাপত্তারক্ষী থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এক বহিরাগত যুবক কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকলেন ও শিক্ষিকার সঙ্গে একটি কক্ষে দরজা বন্ধ করে থাকার সাহস পেলেন? যদিও অধ্যক্ষের দাবি, ওই তরুণ কলেজ অফিসে কাজ আছে বলে কলেজে ঢুকেছিলেন। বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার কলেজের গভর্নিং বডির পূর্বনির্ধারিত বৈঠকে আলোচনা হবে বলে জানান অধ্যক্ষ।
জানা গিয়েছে, বিষয়টি প্রথমে নজরে আসে কলেজের নিরাপত্তারক্ষীর। তাঁর মাধ্যমে কলেজ অধ্যক্ষ ডঃ দেবাশিস দত্ত বিষয়টি জানতে পারেন। তিনি অন্য শিক্ষাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নির্দিষ্ট কক্ষে যান। দেখা যায়, দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। অনেক ডাকাডাকির পরে দরজা খোলা হয়। অধ্যক্ষ বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানান, শুধুই গল্প করছিলেন দুজন। কিন্তু কলেজের ঘরে দরজা বন্ধ করে এক তরুণ ও শিক্ষিকার একান্তে অবস্থান কলেজের শৃঙ্খলার পরিপন্থী ও গর্হিত কাজ। ঘটনাটি জানানো হয় কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মনকে। পরে বহিরাগত তরুণ ও শিক্ষিকাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় এবং লিখিতভাবে বিষয়টি জানানো হয়েছে পুলিশকে।’