Orange Festival Kalimpong: রাজ্য সরকার দার্জিলিংয়ের লেবুর গরিমা ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছে। ২০১৭-’১৮ সাল থেকে পাহাড়ের কমলালেবুর পুনরুজ্জীবনে উদ্যানপালন দপ্তর উদ্যোগী হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিজ্ঞানীদের ডেকে এনে পাহাড়ের কমলা চাষের এলাকা পরিদর্শন এবং সেমিনারের আয়োজন করা হয়। নতুন চারা এনে শুরু হয় চাষ। বিশেষ করে সিঙ্কোনা প্রকল্পের অধীনে এই কাজ বেশি করা হচ্ছে। ২০২২ থেকে উদ্যানপালন দপ্তর পাহাড়ের লেবুকে তুলে ধরতে অরেঞ্জ ফেস্টিভালের আয়োজন করছে। গত দু’বছর মংপুতে এই উৎসব হয়েছিল। এবার কালিম্পং শহরে তা হচ্ছে।
শনিবার থেকে কালিম্পংয়ে (Kalimpong) অরেঞ্জ ফেস্টিভাল (Orange festival) শুরু হল। এদিন রাজ্যের উদ্যানপালন দপ্তরের মন্ত্রী অরূপ রায় এই উৎসবের উদ্বোধন করেন।
মন্ত্রী বলেছেন, ‘দার্জিলিংয়ের কমলালেবুর সুনাম রয়েছে বিশ্বে। শুধু এদেশ নয়, বিদেশেও বহু জায়গায় কমলার চাষ হয়। কিন্তু দার্জিলিংয়ের লেবুর মতো স্বাদ, গন্ধ অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। তাই আমরা এর উৎপাদন বাড়াতে জোর দিয়েছি। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার কমলার উৎপাদন কিছুটা বেশি হয়েছে। আগামী কয়েক বছরে পাহাড়ের এই লেবুর উৎপাদন দ্বিগুণ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।’
একটা সময় দার্জিলিংয়ের কমলা বিদেশের বাজারেও রপ্তানি করা হত। বিজনবাড়ি থেকে শুরু করে মিরিক, সৌরিণী, সেলপু, সিটং, লাটপাংচার, তাগদা সহ পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় এর চাষ হত। কিন্তু মাঝে রোগপোকার আক্রমণে কমলালেবুর উৎপাদন কমতে শুরু করে। কৃষকরা সঠিক পরিচর্যা না জানায় এবং কৃষি ও উদ্যানপালন বিভাগের উদ্যোগের অভাবে তা হারিয়ে যেতে বসেছিল।
শনিবার এবং রবিবার দু’দিন ধরে উৎসব চলবে। এখানে কমলালেবুর প্রদর্শনীর পাশাপাশি মঞ্চ তৈরি করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়েছে। এবার উৎসবে পাহাড়ের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৫০ জন কমলাচাষি স্টল দিয়েছেন। স্থানীয়দের পাশাপাশি কালিম্পংয়ে থাকা কিছু পর্যটক এদিন স্টলগুলিতে ঘুরেছেন।