Rajgunj Voter Card Mystery: SIR আবহে BDO অফিসের পিছনে গুচ্ছ গুচ্ছ ভোটার কার্ড! কীভাবে এল?

Rajgunj Voter Card Mystery: কার্ডগুলির মধ্যে রাজগঞ্জ ব্লকের বেলাকোবা, শুখানি, শিকারপুর-সহ বিভিন্ন এলাকার ভোটারদের নাম লেখা ছিল। সব কার্ডই ২০০৬ সালে ইস্যু করা। তিনি বিষয়টি দপ্তরের কর্মীদের জানিয়ে চলে যান। পরে ফিরে এসে দেখেন, কার্ডগুলি আর সেখানে নেই। তাঁর কথায়, “আমি যখন ফিরে এলাম, দেখি ঝোপের মধ্যে কিছুই নেই।”

Advertisement
SIR আবহে BDO অফিসের পিছনে গুচ্ছ গুচ্ছ ভোটার কার্ড! কীভাবে এল?

Rajgunj Voter Card Mystery: জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে ফের প্রশাসনিক কৌতূহল। বৃহস্পতিবার সকালে রাজগঞ্জ বিডিও অফিসের পিছনের ঝোপ থেকে উদ্ধার হল একগুচ্ছ ভোটার কার্ড। ঠিক সেই সময় ‘সার’ প্রকল্পের কাজ চলছে পুরোদমে। ফলে ঘটনাটি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে স্থানীয় মহলে। প্রশাসনের দাবি, এগুলি পুরোনো ও বাতিল কার্ড। তবে প্রশ্ন উঠেছে, সত্যিই কি বাতিল, না কি ভুয়ো কার্ড ফেলে দেওয়া হয়েছে গোপনে?

রাজগঞ্জ বিডিও অফিসে এ দিন সকালে নিজের কাজে গিয়েছিলেন স্থানীয় যুবক পবিত্র রায়। অফিস চত্বরে ঢোকার পর ফোনে কথা বলতে বলতে তিনি চলে যান পিছনের দিকে। হঠাৎই ঝোপঝাড়ের মধ্যে তাঁর চোখে পড়ে একটি ব্যাগ। কাছে গিয়ে দেখেন, ব্যাগের ভেতর ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে একগুচ্ছ ভোটার কার্ড। শতাধিক কার্ড পড়ে ছিল সেখানে। পবিত্র বলেন, “কার্ডগুলো দেখে মনে হচ্ছিল একদম নতুনের মতো। সদ্য ফেলা হয়েছে বুঝতে পারছিলাম।”

ওই যুবক জানান, কার্ডগুলির মধ্যে রাজগঞ্জ ব্লকের বেলাকোবা, শুখানি, শিকারপুর-সহ বিভিন্ন এলাকার ভোটারদের নাম লেখা ছিল। সব কার্ডই ২০০৬ সালে ইস্যু করা। তিনি বিষয়টি দপ্তরের কর্মীদের জানিয়ে চলে যান। পরে ফিরে এসে দেখেন, কার্ডগুলি আর সেখানে নেই। তাঁর কথায়, “আমি যখন ফিরে এলাম, দেখি ঝোপের মধ্যে কিছুই নেই।”

ততক্ষণে অবশ্য খবর ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। অফিস চত্বরে ভিড় জমতে শুরু করে। কেউ বলছেন, “ভোটার তালিকার নিবিড় সমীক্ষা বা সার প্রকল্পের সময় হয়তো পুরোনো কার্ড ফেলে দেওয়া হয়েছে।” কেউ আবার প্রশ্ন তুলছেন, “যদি সত্যিই বাতিল কার্ড হয়, তবে এতগুলি একসঙ্গে অফিসের পিছনে কেন ফেলা হল?”

যুগ্ম বিডিও সৌরভকান্তি মণ্ডল সংবাদমাধ্যমকে জানান, “ঝোপের মধ্যে যে ভোটার কার্ড পাওয়া গিয়েছে, সেগুলি বাতিল। গুদাম ঘর থেকে কোনওভাবে বাইরে চলে গিয়েছে।” সূত্রের খবর, কিছু দিন আগে অফিসের গুদাম থেকে পুরোনো সামগ্রী সরানো হয়েছিল। সেই সময় হয়তো কার্ডগুলি বেরিয়ে এসেছে। রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মন বর্তমানে দফতরে নেই। তাঁর বিরুদ্ধে একটি খুনের অভিযোগ রয়েছে। ফলে পুরো প্রশাসনিক বিষয়টি আরও ঘনীভূত হয়েছে।

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement